ঢাকা, শুক্রবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ব্রিজেই বদলে গেল ২ হাজার মানুষের ভাগ্য!

কৌশিক দাশ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
ব্রিজেই বদলে গেল ২ হাজার মানুষের ভাগ্য! ডলুঝিরির ওপর ৬০ মিটারের গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ। ছবি: বাংলানিউজ

বান্দরবান: পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্মাণ করা একটি ব্রিজেই পাল্টে দিল ছয় পাড়ের দুই হাজার মানুষের জীবন।

সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার হিমাক্রীপাড়া এলাকার ডলুঝিরির কারণে কষ্টে দিনযাপন করতো এলাকার বাসিন্দারা।

বর্ষাকালে ঝিরিতে পানি বেড়ে গেলে যাতায়াত প্রায় বন্ধ থাকতো। দুই পাড়ের বাসিন্দাদের পড়তে হতো বিভিন্ন দুর্ভোগে। কৃষকদের উৎপাদিত ফল-ফলাদি যাতায়াত বন্ধের কারণে পচে যেত অনেক সময়।

দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান শেষে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান ইউনিটের বাস্তবায়নে ডলুঝিরির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬০ মিটারের একটি গার্ডার ব্রিজ। ১১ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ব্রিজটির উদ্বোধন করেন।  

ব্রিজটি নির্মাণের ফলে ডলুঝিরির আশ-পাশের ছয় পাড়ের ২ হাজার জনসাধারণ এখন সহজেই যাতায়াত করতে পারছে। সকাল-সন্ধ্যা যানবাহন চলছে আর সবার জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দার জানান, এ ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ার আগে প্রায় ৩ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পায়ে হেঁটে প্রধান সড়কে আসতে হতো। বর্ষাকালে ঝিরিতে পানি বেড়ে গেলে বাড়িতেই বসে থাকতে হতো। এর কারণে নিজস্ব জমিতে উৎপাদিত ফসল জমিতেই নষ্ট হয়ে যেতো। এ ব্রিজটি নির্মাণের ফলে সবজি ও ফলমূল বাগান থেকে সহজেই জেলা সদরে আনা যাচ্ছে আর যাতায়াত করা যাচ্ছে অনায়াসে।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লাচিং মারমা বাংলানিউজকে জানান, আগে পরিবহনের কোন সুবিধা ছিল না, রাত-বিরাতে কারো কোন অসুখ দেখা  দিলে নৌকায় অনেক কষ্ট করে হাসপাতালে নিতে হতো। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় ও পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুরের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই ব্রিজটি নির্মাণের ফলে এই এলাকার আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ জানান, ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ডলুঝিরির ওপর ৬০ মিটারের একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এ ব্রিজটির ফলে প্রায় ছয় পাড়বাসী এখন সহজেই চলাচল করতে পারছেন।  তিনি আরও জানান, ব্রিজটিকে আরও আকর্ষণীয় করতে ও রাতে চলাচলের সুবিধার জন্য ব্রিজের ওপরে এবং দুইপাশেই দেওয়া হয়েছে কয়েকটি সোলার লাইট। আগামীতে দুই পাড়ের সড়কগুলো আরও প্রশস্ত করা এবং পাড়ার বিভিন্ন সড়কগুলো উন্নয়ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।  

প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আজিজ জানান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে এবং আগামীতে ও বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়নে কাজ করবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।