ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মির্জা আজমের বক্তব্যের প্রতিবাদ ডা. রফিকুলের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২২
মির্জা আজমের বক্তব্যের প্রতিবাদ ডা. রফিকুলের মির্জা আজম এমপি (বামে) ও ডা. রফিকুল ইসলাম

ঢাকা: চিকিৎসকদের হেয় প্রতিপন্ন করে জামালপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য মির্জা আজম এমপির বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম।

সোমবার (৩১জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ১৯ জানুয়ারি জামালপুর জেলা প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা আজম এমপির একটি বক্তব্যের ভিডিও গত দুদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।

যেখানে তিনি বাংলাদেশের চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীদের ‘চোর’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন- যা অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ, অশালীন ও মানহানিকর বলে প্রতীয়মান হয়।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ ও স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ দেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামে চিকিৎসকদের অবদান সর্বজনবিদিত। সব মহামারি-অতিমারিতেও তাদের অগ্রণী ভূমিকা প্রশংসিত। করোনাকালীন সময়েও প্রায় দুই শতাধিক চিকিৎসক সেবা দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন এবং সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি চিকিৎসকসহ প্রায় ১০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। প্রায় সবারই পরিবারের সদস্যরা তাদের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন। নিজেদের ও পরিবারের জীবন বাজি রেখে জনগণের সেবায় নিয়োজিত হওয়া চিকিৎসকদেরকে ‘চোর’ বলে আখ্যায়িত করে তিনি নিজের অসুস্থ ও বিকারগ্রস্ত মানসিকতারই পরিচয় দিয়েছেন।

ডা. রফিকুল বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া সংবাদ মারফত জানা যায় যে, আলাদীনের চেরাগের ন্যায় এমপি হয়ে ৩৩ গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পাওয়া মির্জা আজম বেশ কয়েকবারের এমপি, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার এ ধরনের বক্তব্য সব পেশাজীবীকে ব্যথিত করেছে। স্বাস্থ্যখাতে যে দুর্নীতি হয় তার সঙ্গে বর্তমান মিডনাইট সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট নেতা, এমপি, মন্ত্রী, আমলা ও ঠিকাদাররা জড়িত; চিকিৎসকরা নয়। কারণ বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কোনো চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না। আমি বর্তমান নিশিরাতের ভোটের সরকারের এই এমপির দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের ও সব পেশাজীবীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ৩১ জানুয়ারি, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।