ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনায় আদালত চত্বরে আইনজীবীদের মারধর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
পাবনায় আদালত চত্বরে আইনজীবীদের মারধর

পাবনা: পাবনায় যৌতুক মামলার অভিযোগকারী ও আসামি পক্ষের বিরোধের জেরে হামলায় তিন আইনজীবী লাঞ্ছিত হয়েছেন। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ বাবু বাংলানিউজকে বলেন, ‘জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খায়রুল আলম দুলাল তার মক্কেল মো. কামরুজ্জামান, মক্কেলের মেয়েজামাই মামলার সাক্ষী মো. মাসুদুজ্জামানকে নিয়ে সকালে আদালতে আসেন। তারা কামরুজ্জামানের স্ত্রীর দায়ের করা যৌতুকের মামলায় চার্জ গঠনের শুনানিতে অংশ নিতে এসেছিলেন।

তারা পাবনা বার সমিতির কাছে একটি হোটেলে খাচ্ছিলেন। তখন একদল বহিরাগত যুবক তাদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ সময় কামরুজ্জামান পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বহিরাগতরা তার মেয়েজামাই মাসুদুজ্জামানকে ধরে নিয়ে প্রথমে শহরের তাড়াশ ভবনে ও পরে এলএমবি মার্কেটের একটি কক্ষে আটকে রাখে। ’

আব্দুল আহাদ বাবু বলেন, ‘পরে বহিরাগতরা আবারও আদালত প্রাঙ্গণে এসে কামরুজ্জামান ও আইনজীবীদের সঙ্গে তর্ক শুরু করে। এ সময় পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে পাবনা পৌরসভা চত্বরে আইনজীবী রিজভী শাওন, আশরাফুজ্জামান প্রিন্স ও প্লাবনকে মারধর করতে শুরু করে বহিরাগতরা। একপর্যায়ে আইনজীবীরা পৌরসভা ভবনে দৌড়ে আশ্রয় নিলে বহিরাগত যুবকেরা সেখানেও তাদের মারধর করে। ’

হামলার এ ঘটনায় আইনজীবী সমিতি পদক্ষেপ নেবে বলে জানান আব্দুল আহাদ বাবু। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
 
এদিকে আহত আইনজীবী রিজভী শাওন বাংলানিউজকে বলেন, ‘জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খায়রুল আলমের মামলার সাক্ষী অপহরণ হওয়ায় আমরা তার কাছে ঘটনা শুনছিলাম। এ সময় জনি ও রাশেদ নামে দুই যুবকের নেতৃত্বে বহিরাগতরা আমাদের মারধর শুরু করে। তারা সাক্ষী মাসুদুজ্জামানকে অপহরণ করে ভয়ভীতি দেখিয়েছে। ঘণ্টা দুয়েক পরে পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে। আদালত চত্বরে এমন হামলার শিকার হবো তা কখনও কল্পনা করিনি। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। ’

পাবনা আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘পৌরসভা চত্বরে ও মেয়রের কক্ষের সামনেই হামলা-মারধর করা হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের রক্ষায় কোনও উদ্যোগ নেয়নি। বরং হামলার খবর পেয়ে সহকর্মী আইনজীবীরা পৌর কার্যালয়ে আমাদের উদ্ধারের জন্য গেলে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ সময় পৌরসভার প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে রাখা হয়। ’

পাবনা পৌরসভার মেয়র শরিফ উদ্দিন প্রধান বলেন, ‘আইনজীবীদের কয়েকজন পৌর চত্বরে ঢুকলে তাদের পিছু নেওয়া কয়েকজন সেখানে এসে তাদের মারধর করেছে বলে শুনেছি। বহিরাগতরা মারধরের পর জন্ম নিবন্ধনের সেবা প্রার্থীদের ভিড়ে মিশে যায়। পরে আইনজীবীরা দলবেঁধে পৌরভবনে আসলে নিরাপত্তার স্বার্থে ফটক বন্ধ রাখা হয়েছিল। ’

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম জুয়েল জানান, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তবে পৌরসভা অফিস চত্বরে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০২২
এনএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।