ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ফরিদপুরে স্বাস্থ্যসেবার অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
ফরিদপুরে স্বাস্থ্যসেবার অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবি

ফরিদপুর: ফরিদপুরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যসেবার অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধের দাবি করেছে ফরিদপুর বাসী।

বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ১০টার ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে স্বাস্থ্যসেবায় ভুক্তভোগী পরিবার ও ফরিদপুরবাসী ব্যানারে এক মানববন্ধনে এ দাবি উঠেছে।

 

এছাড়া ফরিদপুর আল-মদিনা ও আরামবাগ হাসপাতালে নবজাতককে নিয়ে আলোচিত ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি এবং সরকারি-বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবার অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করা হয়।  

মানববন্ধন আয়োজক কমিটির সভাপতি মোস্তফা আমীর ফয়সালের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন- ফরিদপুর নাগরিক মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক পান্না বালা, নারীনেত্রী ও ব্লাস্টের নির্বাহী পরিচালক শিপ্রা গোস্বামী, খেলাঘরের সভাপতি আলতাফ হোসেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য শরিফুল ইসলাম সুজন, সঞ্জয় সাহা, রুমন চৌধুরী, রিশান মাহমুদ রনি, হোসনে আরা, পারভেজ হাসান রাজিব ও আল আমিন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ফরিদপুরে যেভাবে দিনের পর দিন ব্যাঙের ছাতার মতো হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে সেভাবে চিকিৎসার মান উন্নত হচ্ছে না।

অনেক ক্লিনিকেই ডাক্তার না থাকায় আয়া ও নার্সরা রোগীদের চিকিৎসা করছেন। উল্টাপাল্টা চিকিৎসা দিয়ে রোগীদের  জীবনকে হুঁমকির মুখে ফেলে দিচ্ছেন। একইসঙ্গে রোগীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই করার মতো ঘটনা, নবজাতকের কপাল কাটার মতো ঘটনা এবং নবজাতকের হাতে আহত করার ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে। এগুলো দেখার মতো কেউ নেই। রোগী ও তার স্বজনরা এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এসে অত্যন্ত অসহায় হয়ে পড়ছেন।  

এ সময় বক্তারা বলেন, এসব ঘটনা চললেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, সরকারি মনিটরিং তেমনভাবে জোরালো না হওয়ার কারণে দিনের পর দিন এই অবস্থা চলছে।  

যদিও দুটি ক্লিনিক সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ায় জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান এবং তাদের মনিটরিং অব্যাহত রাখার দাবি করেন। তারা অবিলম্বে আল-মদিনা হাসপাতাল ও আরামবাগ হাসপাতালের এ ধরনের ঘটনায়  জড়িতদের  শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২২
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।