ঢাকা, সোমবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শ্রীপুরে শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক আটক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২২
শ্রীপুরে শ্রমিকের মৃত্যুতে মালিক আটক

মাগুরা: মাগুরার শ্রীপুরের নোহাটা ইউনিয়নের সব্দালপুর বাজারে মো. মুরাদ হোসেন (৩২) নামে এক ওয়েন্ডিং শ্রমিককে হত্যার অভিযোগ উঠছে কারখানার মালিক মতিয়ার খানের নামে। মৃত মুরাদ হোসেন মাগুরা সদর উপজেলা ভিটাসাইর গ্রামের সিদ্দিক মোল্ল্যার ছেলে।

শনিবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে তার মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর ধরে শ্রীপুরের সব্দালপুর বাজারে মতিয়ার খানের ওয়ার্কশপে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন মুরাদ। গত শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দিনগত রাতে পুলিশ ওই ওয়ার্কসপ থেকে মুরাদের মরদেহ উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা নিয়ে আসে।

মৃত মুরাদের বড় ভাই সালাউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, পরিকল্পিত ভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। কিছুদিন আগে দোকান মালিকের একটি ভ্যান হারিয়ে যায়। এ ঘটনায় দোকান মালিক মুরাদের বাড়িতে এসে খোঁজ করে এবং তাকে পেলে হত্যা করবে এমন হুমকি-ধামকি দিয়েছিলেন। তাছাড়া থাকে নানা ভাবে হত্যার হুমকি দেন। গত ১১ জানুয়ারি দোকান মালিক মতিয়ার খান বেশি বেতনের লোভ দেখিয়ে পুনরায় তাকে কারখানায় নিয়ে যায়। এরপর ১৪ তারিখ রাতে ফোন করে পারিবারের কাছে মুরাদের মুত্যুর সংবাদ জানায়।

এদিকে কারখানা মালিক মতিয়ার খানত হত্যার অভিযোগ অস্বীকার বলেন, মুরাদ বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিল। তার পরিবারকে আমি বেশ কয়েকবার জানালেও তারা কোনো গুরুত্ব দেয়নি। এখন মারা যাওয়ার পর আমার নামে মিথ্যা হত্যার অভিযোগ করা হচ্ছে।

অপরদিকে মুরাদের ছোট ভাই শামীম হোসেন অভিযোগ করেন, আমার ভাই সত্যিই অসুস্থ থাকলে তার চিকিৎসা করানো উচিৎ ছিল। দোকান মালিক মতিয়ার খান তা করেনি। আমাদের ধারণা মতিয়ার আমার ভাইকে হত্যা করেছে।  

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় বলেন, মরদেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যার দাবি করায় ময়নাতন্তের জন্য মরদেহ মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্ততি চলছে। বর্তমানে দোকান মালিক মতিয়ার খানকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।