ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জিপিএস ট্র্যাকার ছাড়া হাইওয়েতে চলতে পারবে না কাভার্ড ভ্যান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
জিপিএস ট্র্যাকার ছাড়া হাইওয়েতে চলতে পারবে না কাভার্ড ভ্যান

ঢাকা: পণ্যবাহী কাভার্ড ভ্যানে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু না থাকলে হাইওয়েতে চলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

তিনি বলেন, আগামী ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ জানিয়ে দেবে কতো দিনের মধ্যে এই জিপিএস ট্র্যাকার কাভার্ড ভ্যানে বসাতে হবে।

সোমবার (১২ জুলাই) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, আইজিপি, হাইওয়ে পুলিশ প্রধান, বিজিএমইএর সভাপতি, কাভার্ড মালিক সমিতির সভাপতিসহ অন্যান্যরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিজিএমইএর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ একটা সভা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন তারা পণ্য যেখানে রপ্তানি করছেন বা যারা বায়ার্স তারা পণ্য সঠিকভাবে পাচ্ছেন না। তারা এখান থেকে যেভাবে পণ্য দিচ্ছেন সেটা সংখ্যায় কমে যায় বা অন্য রকম কিছু হচ্ছে। এতে আমাদের দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা গত দুই থেকে তিন বছর আগেও এ ধরনের পরিস্থিতি দেখেছি। হাইওয়েতে রাহাজানি করে হাইজ্যাক করে বা এ ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিয়ে ছিল পুলিশ। আবার এ বিষয়ে করা করি ব্যবস্থা না নিলে ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হচ্ছে। মূলত এজন্যই এ সভাটি ডাকা হয়েছিলো।

তিনি বলেন, সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে প্রত্যেকটি পণ্যবাহী গাড়িতে জিপিএস ট্র্যাকিং সিস্টেম চালু থাকতে হবে। যাতে গাড়ির গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে মালিক ও পুলিশ পক্ষ। এছাড়া গাড়িতে ট্র্যাকিং সিস্টেম বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে হাইওয়ে পুলিশ কোনো কাভার্ড ভ্যানে ট্র্যাকিং সিস্টেম না থাকলে হাইওয়েতে উঠতে দেবে না। একই সঙ্গে যেন পণ্যের স্টিকার ও রপ্তানিপণ্যের যথাযথ কাগজপত্র কাভার্ড ভ্যানে থাকে। যাতে পুলিশ বুঝতে পারে এটা রপ্তানিপণ্য পরিবহনের গাড়ি।  

তিনি আরও বলেন, আমরা পরিবহন পুলিশ, গামেন্টর্স মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে একটি এসওপি তৈরি করতে বলেছি। যাতে ব্যবসায়ীরা দ্রুত নির্ভরযোগ্য উপায়ে পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন। হাইওয়ে পুলিশ সম্পর্কে আপনারা জানেন ইতোমধ্যে আমরা একটা বরাদ্দ দিয়েছি। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত মোট ২৫২ কিলোমিটার রাস্তা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসতে কাজ শুরু হবে। আশা করছি দুই মাসের মধ্যে ব্যবস্থা করতে পারবো। এটা হলে হাইওয়ের অধিকাংশ লুটপাট বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া রপ্তানি পণ্য পরিবহনে পুলিশের একজন ফোকালপয়ন্টে কর্মকর্তা থাকবেন। তিনি যে কোনো সময় সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত থাকবেন।

ট্র্যাকিং সিস্টেম যুক্ত কাভার্ড ভ্যান ব্যতিত অন্য কোনো কাভার্ড ভ্যান হাইওয়েতে চলতে পারবে না, সেটা কবে থেকে কার্যকর হবে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, আজকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা বলে দিয়েছি, নিশ্চয় আমরা একটা সময় দেবো ৭ দিন বা ১৫ দিন। এই ট্র্যাকিং সিস্টেম লাগাতেই হবে। সে বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশ একটা সিদ্ধান্ত দেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।