ঢাকা: করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে সরকার ঘোষিত দুই সপ্তাহে ‘কঠোর লকডাউন (বিধি-নিষেধ)’। চলমান ‘বিধি-নিষেধের ১২তম’ দিনের রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মানুষের সমাগম বেড়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলছেন, ‘লকডাউনে’ চলাকালে বিভিন্ন অজুহাতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছে মানুষ।
সোমবার (১২ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর মিরপুর ১৪, ১২, ১১, ১০, ২ নাম্বার এলাকার পাড়া-মহল্লা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
এছাড়াও নগরীতে মূল সড়ক থেকে একটু ভেতরের দিকের পাড়া-মহল্লার রাস্তাগুলোতে দোকান খোলা রয়েছে। পাড়া-মহল্লার দোকানের এক পাশের সাটার বা ঢাকনা দিয়ে চলছে বেচাকেনা।
মো. মনির সেনপাড়া থেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর একটি বেসরকারি ব্যাংকে আসেন। আসার পথে মোটরসাইকেলের পেছনে বন্ধুকে নিয়ে আসায় গুনতে হলো জরিমানা।
মনির বাংলানিউজকে বলেন, আমি সেনপাড়া থেকে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর এসেছি একটি ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে। আসার পথে বন্ধুকে লিফট দিতে গিয়ে গুনতে হলো জরিমানা। চেকপোস্টে আমার গতিরোধ করে এক হাজার টাকার মামলা দিয়েছে।
মিরপুর ১০ নম্বর গোলচক্কর একটি মোবাইলের দোকানের কর্মচারী সাইফুল। দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল ‘লকডাউনে’ কেন বাইরে বের হয়েছি, কেনই বা দোকান খুলেছি?
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাইফুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘লকডাউনে’ মোবাইলের দোকান খুলেছি বলে পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। কেন বাইরে এসেছি? কেন দোকান খুলেছি? দোকান বন্ধ করে দিয়ে বাসায় চলে যাব বলেছি বলেই আমাকে তারা (পুলিশ) প্রথমবারের মতো ছেড়ে দিয়েছেন।
নূর মোহাম্মদ বলেন, মিরপুর ১৪ নম্বর এলাকা থেকে ধানমন্ডি একটি হাসপাতালে যাচ্ছি। অসুস্থ বোনকে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসতে। এ কারণে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছি। চেকপোস্টে হাসপাতালে যাবো, রোগী বাসায় নিয়ে আসবো বলেই যেতে দিচ্ছেন দায়িত্বরত পুলিশ।
ওই গোলচক্কর এলাকায় দায়িত্বরত কাফরুল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদুল বাংলানিউজকে বলেন, ‘লকডাউনে’ মানুষকে ঘরে রাখা কঠিন। দেশে দুই সপ্তাহের ‘লকডাউন’ চলছে এরই মধ্যে বিভিন্ন অজুহাতে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়ছে মানুষ। কারণ ছাড়াই যানবাহন নিয়ে রাস্তায় আসায় সকাল থেকে প্রায় ৭টি মামালা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ১২, ২০২১
এমএমআই/এএটি