ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানে গাদাগাদি করে চলাচল 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৫, জুলাই ৪, ২০২১
উচ্চ সংক্রমণ ঝুঁকি নিয়ে ভ্যানে গাদাগাদি করে চলাচল 

ঢাকা: সরকারঘোষিত কঠোর ‘বিধি-নিষেধ’ এর চতুর্থদিন রোববার (৪ জুলাই) বিভিন্ন অফিস খোলা থাকায় গত দু’দিনের তুলনায় রাস্তায় জনগণের চলাচল বেড়েছে। রাস্তায় যানবাহন না থাকায় বেকায়দায় পড়েছেন অফিসগামী মানুষ।

অতিরিক্ত রিকশার ভাড়ার কারণে অনেকে ভ্যানে গাদাগাদি করে, অনেকে পায়ে হেঁটে লম্বা পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন।

সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া মহাসড়ক ঘুরে এ দৃশ্য দেখা যায়।

যাত্রাবাড়ী-শনির আখড়া মহাসড়ক ঘুরে দেখা যায় এখানকার বেশির ভাগ যাত্রী ভ্যানে অন্য যাত্রীদের সঙ্গে গাদাগাদি করে যাতায়াত করছেন। ছোট এক একটি ভ্যানে ৬ থেকে ৮ জন যাত্রীকে গা ঘেঁষে বসে চলাচল করতে দেখা যায়।

এসব যাত্রীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে বাসস্ট্যান্ডে বা রাস্তার বিভিন্ন অংশে অপেক্ষা করেন। পরে অনেকে মিলে একসঙ্গে ভ্যানে যাতায়াত করছেন।

এসব ভ্যান যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর রোডের চিটাগাং রোড থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত চলাচল করে। অনেক সময় আরও দূরের গন্তব্যেও এভাবে ভ্যানে চড়ে যান যাত্রীরা।
শনির আখড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কথা হয় আব্দুস সালাম নামে একজন যাত্রীর সঙ্গে। বাংলানিউজকে জানান, তিনি সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ভ্যানে উঠেছেন।

ভ্যানে থাকা যাত্রীরা জানান তারা একেকজন এই সড়কের একেকটি পয়েন্ট থেকে উঠেছেন। কেউ সাইনবোর্ড, কেউ মাতুয়াইল মেডিক্যাল, কেউ শনির আখড়া থেকে। সবাই আপাতত যাত্রাবাড়ী যাবেন। সেখান থেকে ভ্যানে বা ভিন্ন উপায়ে যে যার অফিসে যাবেন।

খিলগাঁওয়ের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আব্দুস সালাম।

তিনি বলেন, আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। কারণ অফিসে খোলা, রাস্তায় কোন গাড়ি নেই। হেঁটে এতদূর যাওয়া সম্ভব হয় না। আবার রিকশায় ৪০০-৫০০ টাকা ভাড়া চাইছে। সব মিলিয়ে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকি নিয়ে এভাবে ভ্যানে যেতে বাধ্য হচ্ছি।

সালাম বলেন, সরকার অফিসগুলোকে গাড়ির ব্যবস্থার করার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু কয়টা প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করেছে তা কিন্তু কেউ তদারকি করছে না।

জামান শেখ নামে আরেকজন যাত্রী বলেন, স্বল্প আয়ের মানুষের বিপদ অনেক। একদিকে চাকরি বাঁচাতে হবে, এই বিধি-নিষেধের মধ্যে অফিস করতে গিয়ে বেতনের কয়েকগুণ টাকা খরচ হচ্ছে। তার ওপর নিজে এবং পরিবারের সদস্যদের করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে ফেলছি।

তিনি বলেন, আগে শনির আখড়া থেকে যাত্রাবাড়ীর রিকশা ভাড়া ছিল ২০-২৫ টাকা। এখন ৪০ থেকে ৫০ টাকা। আরও দূরের কোনো গন্তব্যে যেতে রিকশা ভাড়া আরও বেশি ব্যবধানে বাড়তে থাকে।

যেসব প্রতিষ্ঠান খোলা সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যাতায়াতে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে গাড়ির ব্যবস্থা করার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি এবং তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ভ্যানের যাত্রীরা।

***বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘরের বাইরে মানুষজন
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২১
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।