ঢাকা: করোনা সংক্রমণের বিস্তার ঠেকাতে সরকারঘোষিত বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে রাজধানীর অন্যতম প্রধান প্রবেশপথ যাত্রাবাড়ী-কাঁচপুর মহাসড়কে পুলিশ, র্যাব, বিজিবির বেশ কয়েকটি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এ পথে চলাচলকারীদের এসব চেকপোস্টে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর ব্রিজ এলাকা ঘুরে দেখা যায় যাত্রাবাড়ী, শনিরআখড়া, মাতুয়াইল মেডিক্যাল, সাইনবোর্ড, চিটাগাংরোডে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এর মধ্যে সাইবোর্ড চেকপোস্টে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ, র্যাব, বিজিবিকে সমন্বিতভাবে দায়িত্বপালন করতে দেখা গেছে।
ঢাকায় প্রবেশ ও বের হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কে সেনাবাহিনীকেও টহল দিতে দেখা যায়।
এ সড়কে গার্মেন্টসকর্মীদের রিকশা ও ভ্যানে যাতায়াত করতে দেখা গেছে। গার্মেন্টসকর্মী ছাড়া খুব অল্প সংখ্যক মানুষকে সড়কে দেখা যায়।
অধিকাংশ ভ্যানে শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত হতে দেখা যায়নি। তবে প্রায় সবার মুখে মাস্ক পরা ছিল।
এসব মানুষকে চেকপোস্টগুলোতে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে দেখা গেছে। চেকপোস্টগুলোতে আইডিকার্ড, বিদেশগামীদের পাসপোর্টসহ প্রয়োজনীয় প্রমাণ পেশ করতে দেখা গেছে। জরুরি প্রয়োজনের বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিশ্চিত করতে হচ্ছে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গার্মেন্টসকর্মীসহ অন্য মানুষকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
যাত্রাবাড়ী থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত রাস্তার পাশের দোকানপাটগুলো বন্ধ। প্রায় সব চায়ের দোকানও বন্ধ থাকতে দেখা যায়। শনির আখড়া প্রধান সড়কের পাশে একটি চায়ের দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে এবং সেখানে বেশ কিছু মানুষকে মাস্ক না পরে, শারীরিক দূরত্ব না মেনে আড্ডা দিতে দেখা যায়।
মাতুয়াইলে কিছু উৎসুক মানুষকে রাস্তার পাশে অপ্রয়োজনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেখানে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য বলেন, পাশের বাড়িঘর থেকে এরা এখানে এসে দাঁড়াচ্ছে। কোন কারণ নেই, এরা সম্ভবত লকডাউন দেখতে এসেছে। কয়েকবার সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দাঁড়ালেই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিধি-নিষেধের আওতামুক্ত প্রচুর পণ্যবাহী ট্রাক চলতে দেখা গেছে এই সড়কে।
সাইনবোর্ডে চেকপোস্ট পরিদর্শনকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারি বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। গার্মেন্টসকর্মীদের আইডিকার্ড দেখে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।
চেকপোস্টগুলোতে বের হওয়া মানুষের জরুরি প্রয়োজনের সত্যতার বিষয়টি নিশ্চিত করার চেষ্টার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যে বিষয়গুলো প্রজ্ঞাপনে আছে তার কিছু কিছু ব্যত্যয় আমরা দেখি। অনেকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অনেকে ভুল করলে সেই ভুলটাকেই জাস্টিফাই করার চেষ্টা করেন।
তবে আগের চেয়ে মানুষের সচেতনতা বেড়েছে বলে মনে করেন শাহ ইফতেখার আহমেদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২১
এমইউএম/এএ