ঢাকা, সোমবার, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২, ৩০ জুন ২০২৫, ০৪ মহররম ১৪৪৭

জাতীয়

যা কিছু হয়েছে ভুলে গিয়ে কাজে মনোযোগের আহ্বান এনবিআর চেয়ারম্যানের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:২৯, জুন ৩০, ২০২৫
যা কিছু হয়েছে ভুলে গিয়ে কাজে মনোযোগের আহ্বান এনবিআর চেয়ারম্যানের কথা বলছেন এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

ঢাকা: কর্মকর্তাদের এই কয়দিনের কাজকর্মের (কর্মসূচি) কারণে রাজস্ব আদায়ে হোঁচট খেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, যা কিছু হয়েছে সব ভুলে গিয়ে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে, দেশের স্বার্থে আমরা সবাই কাজ করব।

যে কাজগুলো আছে সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাবো। আশা করি, আমাদের আর এ ধরনের সমস্যার মধ্যে যেতে হবে না। অতীতে রেভিনিউ অফিসাররা যেভাবে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছেন, একইভাবে তারা কাজ করবেন।

সোমবার (৩০ জুন) এনবিআর ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

বিগত এক সপ্তাহ ধরে চেয়ারম্যান অপসারণের জন্য আন্দোলন করেছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। সরকারের কঠোর পদক্ষেপে রোববার (২৯ জুন) আন্দোলন প্রত্যাহার করে সংগঠনটি। এরপর প্রথম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

তিনি বলেন, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত আমাদের রাজস্ব আদায় হয়েছে তিন লাখ ৬০ হাজার ৯২২ কোটি টাকা। আজ যেটা ট্রেজারিতে জমা হবে সেটার রিপোর্ট কাল পাবো।  এর বাইরে সরকারি প্রকল্পের কর বা মূসকের বিল থাকে; যেটা আদায় হয়, সেটা সমন্বয় করতে কিছুটা সময় লাগবে। নরমালি জুন ক্লোজিংয়ে একটু সময় লাগে। ২-৩ সপ্তাহ লেগে যাবে ফাইনাল ফিগার আসতে।

গত কয়েকদিনের আন্দোলনে ব্যবসা-বাণিজ্য বিঘ্নিত হয়েছে উল্লেখ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, রাজস্ব আদায় হোঁচট খেয়েছে। আজকেও সময় আছে, আজকে তারা (কর্মকর্তারা) চেষ্টা করছেন। ট্যাক্স অফিসারদের প্ল্যানের মধ্যে আছে কারা ট্যাক্স পেয়ার, কারা বছরের শেষে কর দিবে। এটা তারা জানেন। আজ সব দপ্তর খোলা, ব্যাংক খোলা।

এনবিআরে কর্মচাঞ্চল্য শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কাস্টমস হাউজগুলো রোববার বিকেল থেকেই কাজ শুরু করছে। তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেছেন। এর ফলে সবার মাঝে স্বস্তি বিরাজ করছে। বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের মধ্যে ও নীতি নির্ধারকদের মধ্যে। সকাল থেকেই আমাদের সব দপ্তরে কাজ শুরু হয়েছে। সব কাস্টমস হাউজ, আইসিডি, ভ্যাট ও কর অফিস সবাই কাজ করছে। যেহেতু আজ ৩০ জুন (অর্থবছরের শেষ দিন), আজকে আমাদের একটা বড় ড্রাইভ থাকে।

তিনি বলেন, আমার ধারণা আজকে (সোমবার) ভালো পরিমাণ অর্থ জমা হবে। সরকারি বিলগুলো অ্যাডজাস্ট করলে গতবারের চেয়ে বেশি হবে এটা নিশ্চিত। একটা নির্দিষ্ট অংশের গ্রোথ হবে। আমরা যে রকম আশা করেছিলাম হয়তো সেটার কাছাকাছি থাকবে। তারপরেও জুলাই মাসে আবার ড্রাইভ দিয়ে আমরা এটা ট্রেজারিতে নিয়ে আসব। জুলাই মাসে আমাদের টাকা লাগবে। সরকারকে জুলাই মাসে খরচ করতে হবে।

এর আগে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের আর্থিক ক্ষতিসহ বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তারা কমপ্লিট শাটডাউন আন্দোলন প্রত্যাহার করেছেন। রোববার রাত সাড়ে ৯টায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা। এরপর থেকে কাজে ফেরেন এনবিআরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

জেডএ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।