ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

তীব্র গরমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
তীব্র গরমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় ফিরছেন কর্মজীবী  মানুষ

মাগুরা: করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে চলছে ‘লকডাউন’। এ কারণে বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার বাস।

এরই মধ্যে ঈদ শেষ হওয়ায় কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। দূরপাল্লার বাস বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ধরনের  গাড়িতে চড়ে ভেঙে ভেঙে কর্মস্থলমুখী হচ্ছেন যাত্রীরা। এ সুযোগে ওই সব গাড়ির চালকরাও বেশি ভাড়া আদায় করছেন।  

সোমবার (১৭ মে) দুপুরে মাগুরা বাস টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা গেছে ঢাকামুখী যাত্রীদের অনেক চাপ। সীমিত পরিসরে চলছে কিছু অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস। পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরে লোকাল যাত্রীদের নিয়ে চলছে বাস-মিনিবাস। ঢাকাগামী যাত্রীদের নিয়ে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত যাচ্ছে অটোরিকশা।  

অপরদিকে মাইক্রোবাস ঢাকাগামী যাত্রী নিয়ে আমিন বাজার পর্যন্ত যাচ্ছে। এ সব যানবাহনে আগে সিট দখল করতে চলছে যাত্রীদের প্রতিযোগিতা। কোনো স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ যাত্রীর মুখে নেই মাস্ক।  

ঢাকাগামী যাত্রী শরিফুল বলেন, ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে এসেছিলাম। আমি ঢাকায় একটি কারখানায় চাকরি করি। ঈদে ভেঙে ভেঙে অনেক কষ্ট করে আসতে হয়েছে। আবার যেতেও হচ্ছে অনেক কষ্ট করে। এখন মাগুরা থেকে অটোরিকশা ভাড়া খুবই বেশি। জনপ্রতি তারা ঘাট পর্যন্ত ৩৫০-৪০০ টাকা নিচ্ছে। যা আমাদের মতো মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর।

ঢাকাগামী অপর যাত্রী করিমুল বলেন, শুধু মা-বাবা, স্ত্রী ও পুত্রের জন্যই ঢাকা থেকে ছুটে এসেছি ঈদ করতে। অন্যান্য বারের তুলনায় এবার আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। নেই কোনো গাড়ি, পথে পথে বাধা, তবুই আসতেই হবে। এখন মাইক্রোবাসে করে ঢাকা যাচ্ছি। ভাড়া প্রতিজন ১৩০০ টাকা। তারা আমাদের আমিন বাজার পর্যন্ত নিয়ে যাবে। আবার সেখান থেকে অন্য যানবাহনে ঢাকা যেতে হবে। ‘লকডাউনে’ দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ রয়েছে এ কারণে আমাদের মতো সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত করা খুবই কষ্টকর।

ঢাকার গার্মেন্টস কর্মী রাশিদা বেগম বলেন, মা-বাবাকে দেখতে শুধু ঈদে বাড়িতে এসেছি। ঢাকায় সামান্য বেতনে গার্মেন্টসে কাজ করি। আগে যেখানে আমাদের ঢাকা আসা-যাওয়া করতে এক হাজার টাকার মধ্যে হতে যেত এখন ঢাকা পৌঁছাতে লাগছে ৪ হাজার টাকা, তাহলে আমরা বাঁচবো কি করে।

ঢাকাগামী অন্যান্য যাত্রীদের অভিযোগ, সুযোগ বুঝে কিছু অসাধু অটোরিকশা ও মাইক্রোবাস চালক আমাদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করছে। এখানে যদি প্রশাসন থেকে নজরদারি থাকতো তাহলে ভালো হতো। ইচ্ছা মতো সাধারণ যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি ভাড়া নেওয়ায় আমরা খুবই ক্ষুব্ধ।  

** পরিবহন সংকটে বিপাকে উত্তরের যাত্রীরা
** প্রখর রোদ আর গরমে দুর্ভোগে ফেরির যাত্রীরা 

** জীবিকার তাগিদে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ