ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

প্রখর রোদ আর গরমে দুর্ভোগে ফেরির যাত্রীরা 

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
প্রখর রোদ আর গরমে দুর্ভোগে ফেরির যাত্রীরা  বাংলাবাজার ঘাটে ফেরির যাত্রীরা। ছবি: বাংলানিউজ

মাদারীপুর: ঈদের ছুটি শেষ। ফিরতে হবে কর্মস্থলে।

ঈদের আগে ঘরে ফেরা মানুষরা এবার ফিরতে শুরু করেছেন রাজধানী ঢাকায়। যাত্রাপথে পরিবহন না থাকায় যানবাহনের ভোগান্তির পাশাপাশি মাথার উপর থাকা প্রখর রোদ আর তপ্ত গরমে অনেকটাই দিশেহারা তারা।  

এদিকে লকডাউনের কারণে লঞ্চ বন্ধ থাকায় যাত্রীদের পার হতে হচ্ছে ফেরিতে। ফেরিঘাটে যাত্রীদের জন্য নেই কোনো যাত্রী ছাউনি বা টার্মিনাল। যানবাহন থেকে নেমেই ফেরিতে উঠতে পুরো পথই প্রখর রোদের মধ্যে হেঁটে আসতে হচ্ছে যাত্রীদের।  

অন্যদিকে ফেরিতে ওঠার পর বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের ফেরির খোলা ডেকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় এবং হাজার হাজার যাত্রী একত্রে পার হওয়ায় গাদাগাদি অবস্থায় থাকতে হচ্ছে প্রায় দেড়/দুই ঘণ্টা। মাথার উপর কড়া রোদ, ভ্যাপসা গরম এবং নৌপথে মৃদুমন্দ বাতাস না থাকায় অসহনীয় হয়ে উঠেছে যাত্রা। যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, অতিরিক্ত গরমে প্রায় অসুস্থ হওয়ার পথে।  

এদিকে শরীয়তপুর থেকে আসা ঢাকাগামী এক যাত্রী গরম সহ্য করতে না পেরে মাথা ঘুরে পড়ে যান ঘাটে। পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা সময় টেলিভিশনের মাদারীপুরের সাংবাদিক অভিজিৎকে অসুস্থ ওই নারী যাত্রীকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। মাথায় পানি ঢেলে স্যালাইন খাওয়ানোর পর তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করেন।  

বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৭ মে) সকাল থেকেই ঢাকাগামী যাত্রীদের প্রচুর ভিড় রয়েছে শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে। প্রখর রোদে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নারী যাত্রীদের ভোগান্তি আরো বেশি।  

ঢাকাগামী যাত্রী জাহানারা বেগম বলেন, প্রচণ্ড গরমে শরীরের অবস্থা খুবই খারাপ। ঘাটে কোনো গাছপালা নেই। পায়ের নিচের বালুও গরম, ভীষণ কষ্টে আছি আমরা।

মহিউদ্দিন মিয়া বলেন, সব সময়ই যাত্রীদের প্রচুর ভিড় থাকে ঈদ মৌসুমে। এবার লঞ্চ, স্পিডবোট না চলার কারণে সব চাপ পড়েছে ফেরিতে। তার ওপর এই গরম। সব মিলিয়ে এবারের যাত্রা দুর্ভোগ আর কষ্টের।

পেশাগত কাজে বাংলাবাজার ঘাটে সংবাদ সংগ্রহে থাকা সাংবাদিক অভিজিৎ জানান, 'পরিবারের লোকজন তাড়াহুড়ো করে ফেরিতে উঠে গেলেও ওই নারীযাত্রী ফেরিতে উঠতে পারেননি। গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পানি, ওরস্যালাইন ও ওষুধ খাওয়ানোর পরে তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। পরে পরিবারের লোকজন ছুটে এলে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মাধ্যমে তাকে ফেরিতে ওঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। তার বাড়ি শরীয়তপুরের গোসারইহাট উপজেলার বাসুদেরচাপ এলাকায়।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, নৌরুটে ১৭টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রীদের চাপ সকাল থেকেই বেশি। অন্যদিকে শিমুলিয়া থেকে খু্ব কম সংখ্যক যাত্রী ও পরিবহন আসছে। বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে যাওয়া ফেরিগুলো আনলোড করে দ্রুত ফিরে আসছে।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সবগুলো ফেরি চলাচল করায় যাত্রীর চাপ বেশি হলেও ফেরিতে উঠতে তেমন সমস্যা হচ্ছে না।

** জীবিকার তাগিদে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।