লালমনিরহাট: জাকারিয়া বিন হক শুভকে (২৮) হত্যা করা হয়েছে দাবি করে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে তার মরদেহ নিয়ে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় জনগণ ও স্বজনরা।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের শুভর মরদেহ নিয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাসা থেকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে, বড় বোন হাসিনা নাজনিন বিনতে হক শুক্রবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শুভর স্ত্রী শেহনীলা নাজ ও শাশুড়ি আছমা বেগমসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে।
শুভ কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঘনেশ্যাম (এমসি মোড়) এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। ওয়ালটনের মোবাইল সেক্টরের টেরিটরি সেলস ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। চাকরির সুবাদে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে শ্বশুরালয়ের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন শুভ।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয়দের খবরে বাসা থেকে শুভর মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে তার প্রথম জানাজা শেষে বন্ধু-স্বজনরা মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ির পথে রওনা দেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঘনেশ্যাম গ্রামে পৌঁছালে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন স্থানীয় লোকজন ও স্বজনরা। শুভর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ উৎঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি করেন তারা। এ সময় লালমনিরহাট বুড়িমারী মহাসড়কের উভয় প্রান্তে শতধিক ট্রাক আটকা পড়ে।
নিহতের বড় বোন নাজনীন বিনতে হকের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, বিয়ের পর আলাদা বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন শুভ। এরপর থেকেই শুভকে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিতেন না স্ত্রী নাজ। কোনোভাবে যোগাযোগ করলে তাকে তার স্ত্রী শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। ফলে শুভ সব সময় মানসিক যন্ত্রনায় ভুগতেন। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে শুভর মরদেহ দাফন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৬০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২০
এসআই