ঢাকা, রবিবার, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের দুয়ার খুলছে আগামী বছর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের দুয়ার খুলছে আগামী বছর

রাজশাহী: আগামী বছরের জুনে আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার। রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে দুই দশমিক তিন একর জায়গাজুড়ে ইতোমধ্যে মাথা তুলছে এর নির্মাণযজ্ঞ।

অবকাঠামো উন্নয়নের ৪৬ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, নভোথিয়েটারে আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল প্রজেক্টর সিস্টেমযুক্ত প্ল্যানেটরিয়াম, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ডিজিটাল এক্সিবিটস, ফাইভ-ডি সিমিউলেটর থিয়েটার, টেলিস্কোপ, কম্পিউটারাইজড টিকেটিং অ্যান্ড ডেকোরেটিং সিস্টেমসহ এই নভোথিয়েটারে আধুনিক প্রযুক্তির ডিজিটাল প্রজেক্টর সিস্টেমযুক্ত প্ল্যানেটরিয়াম, সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ডিজিটাল এক্সিবিটস, ফাইভ-ডি সিমিউলেটর থিয়েটার, টেলিস্কোপ, কম্পিউটারাইজড টিকেটিং অ্যান্ড ডেকোরেটিং সিস্টেমসহ নানা সুবিধা থাকবে। ভবন নির্মাণ শেষ হলে দ্রুত অন্যান্য যন্ত্রাংশ সংযোজন হবে নভোথিয়েটারে।

২২২ কোটি তিন লাখ টাকা ব্যয় ধরে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার' প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল রাজশাহী সিটি করপোরেশন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পটি এখন বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদফতর। প্রকল্পের মেয়াদকাল ২০১৫-২০১৮ সাল ধরা হলেও বিলম্বে কাজ শুরুর কারণে শেষ পর্যন্ত এ প্রকল্পের মেয়াদকাল বৃদ্ধি করে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়েছে।

রাসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ জানুয়ারি রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন রাজশাহীতে নভোথিয়েটার স্থাপনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে চিঠি লিখেন। মূলত এরপর থেকেই শুরু নভোথিয়েটারের স্বপ্নযাত্রা। প্রকল্পটি ২০১৫ সালের আগস্টে পরিকল্পনা কমিশনের প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় অনুমোদন পায়। ওই বছরের ডিসেম্বরে যায় একনেকে। এরপর ২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি একনেক সভায় অনুমোদন হয় এই প্রকল্প।

রাজশাহী গণপূর্ত অধিদফতর সূত্র জানায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড এই কাজ বাস্তবায়ন করছে। ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর শুরু হয় অবকাঠামো নির্মাণ কাজ। নির্ধারিত স্থানটিতে বড় বড় গাছসহ চিড়িয়াখানার বেশ কিছু প্রাণির খাঁচা সরিয়ে জমি বুঝিয়ে দিতে বিলম্ব হওয়ার কারণে প্রকল্পের কাজও শুরু হয় বিলম্বে।

সরেজমিন প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নভোথিয়েটারের চারতলা ভীত বিশিষ্ট অফিস ব্লকের নির্মাণকাজ চলছে। আরেকটি ভবনের দ্বিতীয় তলার সাটারিং কাজ করছেন শ্রমিকরা। ৩৯ হাজার ৮০০ বর্গফুট আয়তনের প্লানেটরিয়াম ব্লকের নির্মাণকাজও শুরু হয়েছে।
রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন জানান, এটি রাজশাহীবাসীর জন্য স্বপ্নের একটি প্রকল্প। নভোথিয়েটার নির্মাণকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। সবকিছু ঠিক থাকলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই স্বপ্নের নভোথিয়েটারের দুয়ার খুলে দেওয়া সম্ভব হবে।

রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী খন্দকার খায়রুল বাশার বলেন, প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিলো রাসিক। তবে এখন বাস্তবায়ন করছে গণপূর্ত অধিদফতর। নির্ধারিত স্থানটিতে বড় বড় গাছসহ চিড়িয়াখানার বেশ কিছু প্রাণির খাঁচা ছিল। এগুলো সরিয়ে জমি বুঝিয়ে দিতে বিলম্ব হয়েছে। ফলে প্রকল্পের কাজও শুরু হয়েছে বিলম্বে।

রাজশাহী গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী অমিত কুমার দেব বলেন, ২২২ কোটি ৩ লাখ টাকার মধ্যে কেবল অবকাঠামো নির্মাণেই ব্যয় হচ্ছে ৮০ কোটি ১০ লাখ টাকা। নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যেই আলোর মুখ দেখবে নভোথিয়েটার। বিজ্ঞানমনস্ক আধুনিক নাগরিক তৈরিতে বিজ্ঞানের সুযোগ-সুবিধা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়াই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ সময়: ০২০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
এসএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।