ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বগুড়ায় অতিথি আপ্যায়নে দইয়ের জুড়ি নেই

কাওছার উল্লাহ আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২০
বগুড়ায় অতিথি আপ্যায়নে দইয়ের জুড়ি নেই দই বিক্রি করছেন দোকানিরা

বগুড়া: বগুড়ায় অতিথি আপ্যায়নে দইয়ের জুড়ি নেই। দইয়ের নাম শুনলেই অনেকের জিভে জল এসে যায়।

কোরবানির ঈদে অতিথি আপ্যায়নে দইয়ের যেন কোনো বিকল্পই নেই। তাই দই কিনতে ক্রেতারা ছুটছেন শহরের নামকরা বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁ, শো-রুম ও মিষ্টির দোকানগুলোতে।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দেখা গেছে বগুড়া শহরের নামকরা বিভিন্ন হোটেল, শো-রুম ও মিষ্টির দোকানগুলোতে ছুটছেন ক্রেতারা। ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরাও।

এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে সচেতন মহলের মানুষগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পছন্দের খাবারগুলো ক্রয় করছেন। অনেকেই আবার স্বাস্থ্য সচেতনার তোয়াক্কা না করে করছেন কেনাকাটা।

প্রত্যেক বছর কোরবানির ঈদের আগে ও পরের মুহূর্তে এসে দই ও মিষ্টি সামগ্রীর দাম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। অন্য সময়ের চেয়ে প্রতি সরা দই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। একই হারে বেড়েছে মিষ্টি সামগ্রীর দাম। এমন অভিযোগ ক্রেতা সাধারনের।

দই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার কথা স্বীকার করলেও কারণ দেখাচ্ছেন ভিন্ন। ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে দুধের দাম বেড়েই চলছে। প্রতিকেজি দুধের দাম ৩০-৩৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে ৭০-৮০ টাকা দরে ক্রয় করতে হচ্ছে। আর দই তৈরির প্রধান উপাদানই হলো দুধ। এ কারণে দইয়ের দাম বাড়তি বলে দাবি করেন ব্যবসায়ীরা।

.

ঈদুল আজহা মানেই পশু কোরবানি। আর পশু কোরবানি মানেই ধনী-গরিব মিলেমিশে মাংস খাওয়া। মাংস খাওয়ার পর এ অঞ্চলের সিংহভাগ মানুষ দই খাওয়া পছন্দ করেন। তাই ঝাল খাওয়ানো শেষে প্রতিবেশি, আত্মীয়স্বজন, নিমন্ত্রণে আসা অতিথিকে খ্যাতির এ দই খাওয়াতে না পারলে নিজেকে অনেকটা অপমানিতবোধ করেন গৃহিনীরা। আর এ কারণেই কর্তাদের দই কেনা।

খ্যাতির এ দইয়ের জন্মস্থান বগুড়ার শেরপুর উপজেলা। প্রায় দুইশ’ বছর আগে পৌরশহরের ঘোষপাড়ার ঘোষ বংশের লোকজন নিজেদের গৃহপালিত গাভির দুধ থেকে দই তৈরি শুরু করেন।

অখিল, ছোটন শাহা, বাদশাসহ একাধিক দই বিক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, ঈদ এলেই দই বানানোর প্রধান কাঁচামাল দুধের দাম বেড়ে যায়। আর তাই এ সময়টায় দইয়ের দাম কিছুটা বাড়তি নিতে হয়।

তারা বলেন, প্রতিপিস স্পেশাল সরা দই ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে ২২০ টাকা, বাটি দই ৯০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা, ক্ষিরসা ৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫০ টাকা, চমচম, মৌচাকা, কালোজাম (বড়) মিষ্টি প্রতিকেজি ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪০ টাকা, কালোজাম (ছোট) ১৬০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ টাকা, রাজভোগ ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৪০ টাকা, হাসিখুশি ২০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৬০ টাকা, লালমন ১৮০ টাকা থেকে বেড়ে ২২০ টাকা, সন্দেশ ২৮০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আব্দুস সালাম, মোমিনুল ইসলাম, সুমাইয়াসহ একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, এ বছর কোরবানির ঈদে মিষ্টি ও দইয়ের দামের ব্যবধান বেশি। ইচ্ছে অনুযায়ী দোকানিরা দইয়ের দাম নিচ্ছেন। ঈদ এলেই এমনটা হয়। দাম বেশির কারণ জানতে চাইলেই দুধের দাম বেশি বলে জানায় দোকানিরা। প্রতিপিস সরা দইয়ে ৪০-৫০ টাকা বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২০
কেইউএ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।