বৃহস্পতিবার (০২ জুলাই) রাত পর্যন্ত তিনি ও তার টিম মোট ৪৭ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীকে প্লাজমা দিয়েছেন। ২৩ জনকে অক্সিজেন সেবা সরবরাহ করেছেন এবং করোনায় ও করোনার উপসর্গে মারা যাওয়া ৯২ ব্যক্তির দাফন-সৎকার করেছেন।
এসব কাজে তাকে সহায়তা করেছেন তার দক্ষ টিম মেম্বাররা। তার প্লাজমা টিমে রয়েছেন- নাঈমুল বাবু, আরাফাত নয়ন, রিজন, সাইফি ও জামান। তার টিমের অনেকেই আক্রান্ত হয়েছেন, আইসোলেশনে থেকেছেন এবং পুনরায় সুস্থ হয়ে আবারো টিমে যোগ দিয়েছেন। এখনো তার দাফন টিম মেম্বার আনোয়ার হোসেন আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে রয়েছেন। প্লাজমাগুলো তারা সংগ্রহ করছেন করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে। সেগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী রোগীদের বিনামূল্যে পৌঁছে দিচ্ছেন তারা। অক্সিজেন সরবরাহ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৫টি সিলিন্ডার ও ৩টি অত্যাধুনিক অক্সিজেন মেশিন যা কিনা বাতাস থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অক্সিজেন জেনারেট করে রোগীকে সরবরাহ করতে সক্ষম।
ইতোমধ্যে ২১ জন প্লাজমা সেবায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন। তবে গুরুতর অবস্থায় ৫ আক্রান্ত রোগী প্লাজমা সেবা নিয়েও মারা গেছেন। অক্সিজেন সেবা নিয়ে বেশিরভাগ আক্রান্ত রোগী এখন স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিতে পারছেন।
প্লাজমা সেবা নেওয়া মোক্তার হোসেনসহ বাড়ি ফেরা একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলতে গেলে তারা খোরশেদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তার এ ঋণ কোনোদিনও পূরণ করা সম্ভব নয় বলে জানান।
মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ জানান, আমি আল্লাহকে খুশি করতে এসব করছি। কোনো কিছু পেতে বা কোনোকিছুর আশায় নয়। আমি আমার কাজ অব্যাহত রাখবো। প্লাজমা সংগ্রহ ও প্রদান আমরাই দেশের প্রথম বেসরকারি উদ্যোগে শুরু করেছি, অক্সিজেন সেবাও। পরে আমাদের দেখে মানুষ উৎসাহিত হয়েছে এবং বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন এতে এগিয়ে এসেছে। এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে আমাদের কাজটি আরও সহজ হবে এবং আমরা আরও ভালোভাবে করোনা মোকাবিলা করতে পারবো। দাফন সৎকারেও আমরা প্রথমে এগিয়ে এসে সবাইকে সাহস যোগাতে চেষ্টা করেছি। আগামী দিনেও আমরা এভাবেই আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবো।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২০
এইচএডি/