ঢাকা, শনিবার, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

টাঙ্গাইলে ৫০ লাখ টাকা ছিনতাই: ৩ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার আরও ২

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
টাঙ্গাইলে ৫০ লাখ টাকা ছিনতাই: ৩ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার আরও ২

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পোস্ট মাস্টারকে গুলি করে ৫০ লাখ টাকা ছিনতাই ঘটনায় তিন লাখ টাকাসহ আরও দুইজনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। 

এরা হলেন ছিনতাই ঘটনার মূল নায়ক উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম সজীবের চাচাতো বোন ও তার শ্বশুর। এদের মধ্যে চাচাতো বোন সুলতানা রাজিয়াকে (৩৮) রোববার ও তার শ্বশুরকে (৭০) সোমবার গ্রেফতার করা হয়।

 

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল কুমার দত্ত বাংলানিউজকে জানান, গত ১৭ মে কালিহাতী পোস্ট অফিস থেকে ৫০ লাখ টাকা তুলে বল্লা পোস্ট অফিসে যাওয়ার পথে পোস্ট মাস্টারকে গুলি করে ৫০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।  

এর আগে দুই দফায় ছিনতাইকৃত ১৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।  

তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ছিনতাইয়ের মূল হোতা মনিরুল ইসলাম সজীবের সঙ্গে তার চাচাতো বোন সুলতানা রাজিয়ার যোগাযোগ থাকার বিষয়টি জানা যায়। পরে রোববার কালিহাতী উপজেলার সিংগাইর উত্তরপাড়া গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে সুলতানাকে গ্রেফতার করা হয়।  

জিজ্ঞাসাবাদে সুলতানা পুলিশকে জানান, ঘটনার দিন সজীব তার বাড়িতে ১০ লাখ টাকা রেখে যান। গত ১০ জুন সজীবের শ্বশুরবাড়ি থেকে ছিনতাই হওয়া সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে তিনি (সুলতানা) বিচলিত হয়ে পড়েন। এসময় টাকা তার শ্বশুরবাড়ির বিভিন্ন জনের কাছে লুকিয়ে রাখেন। শ্বশুর মোশারফ হোসেনের (৭০) কাছে তিন লাখ টাকা রাখেন।  

সোমবার শ্বশুর মোশারফ টাকা নিয়ে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আসার পর তাকেও গ্রেফতার করা হয়।

বিকেলে মোশারফ হোসেনকে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। সুলতানা রাজিয়া আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হওয়ার পর আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।  

প্রসঙ্গত, ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় পুলিশ ২১ মে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তামজিদুল ইসলাম ওরফে জিসানকে গ্রেফতার করে। এসময় তার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।  

আদালতে জবানবন্দিতে জিসান জানান, যুবলীগ নেতা সজীবের নেতৃত্বে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। পরে গোয়েন্দা পুলিশ ১০ জুন সজীবের শ্বশুর নাগবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইমান আলী ও তার ছেলে ইমরান নাজিরকে গ্রেফতার করে। এসময় স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তাদের বাড়ি থেকে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত উজ্জল ও উমরগাজী নামক দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকেও এক হাজার টাকা উদ্ধার হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।