যথাযথ অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির বিষয়টি সামনে এসেছে। চিকিৎসা নিতে আসা পাঁচ রোগীর এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারেন না।
বৃহস্পতিবার (২৮ মে) অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, আমি খোঁজ খবর নিয়েছি। রোগীর স্বজন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ছিল। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ফায়ার এক্সটিংগুইশার ও সিলিন্ডার যেগুলো পাওয়া গেছে তার অধিকাংশগুলোই ছিল মেয়াদোত্তীর্ণ।
তিনি বলেন, করোনা রোগীদের জন্য বর্ধিত আইসোলেশন সেন্টারে ১১টি ফায়ার এক্সটিংগুইশারের মধ্যে ৯টি মেয়াদোত্তীর্ণ পেয়েছি। হাসপাতালের মূল ভবনের অগ্নিনিরাপত্তা সরঞ্জামের কী অবস্থা জানি না। তবে যেসব হাসপাতাল এখন থেকে এরকম এক্সটেনশন করবেন, তারা যেন অগ্নিনিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল রাখেন।
হাসপাতালের নিজস্ব ফায়ার ফাইটার টিম থাকলে এ দুর্ঘটনা হতো না। তারপরও যারা ছিল তারা করোনা রোগীর ভয়ে ভেতরে যায়নি।
ঘটনা তদন্তে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক টিম আলামত সংগ্রহ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তদন্তে কাজ করছে গুলশান থানা পুলিশ। ফায়ার সার্ভিস থেকে আগুনের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে সবধরনের সহযোগিতা দেওয়া হবে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, মানুষ হাসপাতালে আসে অসুস্থতা নিয়ে সুস্থ হওয়ার জন্য, কিন্তু এখানে যেভাবে আগুন লেগে পাঁচজন রোগীর মৃত্যু হলো তা অত্যন্ত দুঃখজনক। এর দায় কোনোভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না।
তদন্ত সাপেক্ষে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেল যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (২৭ মে) রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ইউনাইটেড হাসপাতালের অস্থায়ী করোনা আইসোলেশন সেন্টারে আগুন লাগে। রাত ১০টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও এ ঘটনায় আইসোলেশন সেন্টারে চিকিৎসাধীন এক নারীসহ পাঁচজন মারা যান।
** দায়সারা ছিল ইউনাইটেডের করোনা আইসোলেশন ইউনিট
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
পিএম/ওএইচ/