বৃহস্পতিবার (২৮ মে) চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মওদুদ আহম্মেদ বাংলানিউজকে জানান, সকালে চৌহালী থানাধীন খাস কাউলিয়ার চর ও পয়লার চর এলাকা থেকে তিনজনের এবং এনায়েতপুর থানাধীন স্থল চর এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে স্থলচর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দহ গ্রামের নূর মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে আলম মিয়ার পরিচয় জানা গেছে।
>>যমুনায় নৌকাডুবে ৩ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ১৫
মঙ্গলবার (২৬) দুপুরে এনায়েতপুর থেকে ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা চৌহালী যাওয়ার পথে স্থলচর এলাকায় পৌঁছলে ঝড়ো বাতাসের কবলে পড়ে ডুবে যায়। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা ৫৭ জন যাত্রীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বেলকুচি উপজেলার গয়নাকান্দি গ্রামের পাশান ফকির (৬৫), কলাগাছি গ্রামের শামীম হোসেনের ছেলে নাইমুল ইসলাম (৪), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার সুবর্ণতলী গ্রামের শেখ কামাল মোল্লার (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বুধবার (২৭ মে) সকালে জোতপাড়া এলাকা থেকে আজিজল নামে এক যুবক (৩০) ও স্থলচর এলাকা থেকে কৈুজরী গ্রামের আফজাল (৩৮) নামে আরও এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বুধবার দিনভর ফায়ার সার্ভিসের চার সদস্যের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালায়। বিকেল ৫টার দিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৮ মে) আজ সকালে খাস কাউলিয়া, পয়লা ও স্থলচর এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় তিনজনের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ নিয়ে এ নৌকাডুবির ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো আটজনে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আটজন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৪ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২০
এনটি