ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ০৭ মে ২০২৪, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আমের ট্রেন চালু নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কর্মশালা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৩ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
আমের ট্রেন চালু নিয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের কর্মশালা রেলওয়ের কুলিদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়

রাজশাহী: আমের ট্রেন চালুর আগে কুলিদের নিয়ে শনিবার (২৩ মে) দুপুরে কর্মশালা করেছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে। একইসঙ্গে কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন স্টেশনে থাকা কুলিদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৫ মার্চ থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের সকল যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে কর্মহীন অবস্থায় মানবিক বিপর্যয়ে পড়া কুলিদের পাশে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

এর ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৩ মে) দুপুরে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত পঞ্চাশজন কুলিকে ত্রাণ বিতরণ করেন রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল এর মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ।

এদিকে, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আম পরিবহনের জন্যে বিশেষ পার্সেল ট্রেন চলাচলের যে সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুলিদেরকে নিয়ে একটি মোটিভেশনাল কর্মশালাও অনুষ্ঠিত হয়৷ কর্মশালায় পশ্চিমাঞ্চলের চীফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার আহছান উল্ল্যাহ ভূঞা বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ, স্টেশন ম্যানেজার মো. আব্দুল করিম, পার্সেল সহকারী আখতার হোসেন। এছাড়া স্টেশনের অন্যান্য কর্মচারীবৃন্দ এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালার আয়োজক বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (পাকশী) ফুয়াদ হোসেন আনন্দ জানান, আম পরিবহনে কুলিরা একটা বিশাল ভূমিকা পালন করবে৷ আর তারা এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছে। ফলে দুইটি বিষয়কে সামনে রেখে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল।

কর্মশালায় রেলওয়ে স্টেশনের কুলিদেরকে আমের বিশেষ ট্রেন পরিচালনার কাজে নিয়োজিত করার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ অন্যান্য দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। এর সঙ্গে মানবিক কারণে কিছু ত্রাণসামগ্রীও দেওয়া হয়।

ফুয়াদ হোসেন আনন্দ আরও জানান, পাকশী বিভাগে মোট ৬১৪ জন কুলি আছে৷ পর্যায়ক্রমে সকলকেই এই ত্রাণের আওতায় আনা হবে।

ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে পশ্চিমাঞ্চল রুটের সব যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ আছে। তবে এবার ট্রেনেই রাজধানী ঢাকায় যাবে রাজশাহীর বিখ্যাত আম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী হয়ে ঢাকায় নিতে প্রতি কেজি আমের ভাড়া লাগবে মাত্র দেড় টাকা। আর আমের রাজধানী রাজশাহী থেকে পরিবহনের জন্য ভাড়া লাগবে এক টাকা ৩০ পয়সা।

বুধবার (২০ মে) দুপুরে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আম সংগ্রহ, পরিবহন ও বাজারজাতকরণ নিয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আম পরিবহন নিয়ে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঈদের পর থেকে পরিবহন শুরু হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২০
এসএস/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।