ঢাকা: ‘চল চল যমুনা যাই’— এ ধরনের রাজনীতি আর হতে দেওয়া হবে না। এমনটি বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বুধবার (১৪ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে কাকরাইল মসজিদ মোড়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাহফুজ আলম বলেন, আজ থেকে ‘চল চল যমুনা যাই’— ধরনের রাজনীতি আর হতে দেব না। যথেষ্ট হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা আজ এই কর্মকাণ্ডে জড়িত, তারা বড় ভুল করেছেন। যারা নাশকতার উদ্দেশ্যে এখানে এসেছেন, শিক্ষার্থীদের উচিত তাদের বর্জন করা। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
তিনি বলেন, আমি এখানে আসার পর যা ঘটেছে, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দোষীদের খুঁজে বের করবে। আরেকটি বিষয় হলো, আন্দোলনের মধ্যে একটি অংশ রয়েছে, যাদের আমি নাশকতাকারী মনে করি।
উপদেষ্টা বলেন, তারা বিভিন্ন আন্দোলনে ঢুকে নাশকতা চালায়। তারা গত আট মাস ধরে একজনের পেছনে লেগে আছে। গণমাধ্যম ও প্রশাসনের দায়িত্ব, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় খুঁজে বের করা। আপনারা খুঁজে বের করুন, দেখবেন একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, একজন ব্যক্তির ওপর যে তাদের বিদ্বেষ রয়েছে, অনলাইনে যে তাদের হিংস্রতা রয়েছে, তারাই এই কাজ করেছে। আমি কারো নাম বলব না। আমি শুধু সন্দেহ প্রকাশ করলাম। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি আমার আহ্বান, নাশকতাকারীদের চিহ্নিত করে তাদের কাছ থেকে নিজেদের আলাদা করুন।
তিন দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের লংমার্চ কাকরাইল মসজিদের সামনে পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় পুলিশ।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুলিশের দেওয়া ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তখন পুলিশ লাঠিপেটা শুরু করে। একপর্যায়ে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করে। পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে আন্দোলনকারীদের একটি অংশ কাকরাইলে যমুনা অভিমুখী সড়কে এসে অবস্থান নেয়।
ইএসএস/আরএইচ