কাউছার ভোলার তজুমুদ্দিন থানার মলমসুরা এলাকার মোকসেদ আলীর ছেলে। তিনি ভবানীপুর বাজারে রাফি-রাতুল টায়ার অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং শপের কর্মচারী ছিলেন।
দোকান মালিক রিয়াজ উদ্দিন জানান, ভবানীপুর এলাকায় নার্গিস আক্তারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন কাউছার। দোকানের নিরাপত্তার স্বার্থে কয়েক দিন ধরে রাতে দোকানেই ঘুমাতেন তিনি। প্রতিদিনের মতো বুধবারও (১৫ এপ্রিল) তিনি দোকানে ছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে একাধিকবার মোবাইলে ফোন দিলে কাউছার রিসিভ করেনি। এক পর্যায়ে দোকানে গেলে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে জয়দেবপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে দোকান মালিকের ভায়রা নয়নের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান কাউছার। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকানে ফেরেন তিনি। পরে দোকানে ঘুমিয়ে থাকেন। পরদিন বৃহস্পতিবার ভোরে দোকান মালিক রিয়াজ ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে না পেয়ে দোকানে গিয়ে তাকে ডাকাডাকি শুরু করেন। এসময় তার কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে দরজায় ধাক্কা দিলে দরজাটি খুলে যায় এবং দোকানের ভেতরে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তার গলায় কাপড় পেঁচানো ও হাত-পা রশিতে বাঁধা ছিল।
তিনি আরও জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলেন ধারণা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২০
আরএস/আরবি/