সোমবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে এনজিওগুলোকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে কারওয়ান বাজারে ঢাকা ওয়াসা ভবনে এক সমন্বয় সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরে অবস্থিত বিভিন্ন বস্তিতে এনজিওগুলো নানারকম সেবামূলক কাজে সম্পৃক্ত রয়েছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরে অনেক প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাস সংকট মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানিক কোনো ব্যবস্থাপনা নেই। এখানে ঢাকা মহানগরে বসবাসরত নিম্ন আয়ের মানুষের কঠিন সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
তিনি আরো বলেন, এ জাতীয় সংকট মোকাবিলা করার জন্য জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আপদকালীন একটি রূপরেখা এবং সেটআপ আছে। বর্তমানে ঢাকা মহানগরের জন্য একটি অ্যাকশন প্ল্যান করা জরুরি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রাক, ওয়াটার এইড, ডিএসকে, সাজেদা ফাউন্ডেশন, শক্তি ফাউন্ডেশন এবং ওয়াশ প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত এনজিওগুলো ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়- ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে ১০টি করে সাব-কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিটি কমিটিতে অন্তত একজন এনজিও প্রতিনিধি থাকবে। কমিটিগুলোর কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রীকে অবহিত করা হবে।
সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, দরিদ্র ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীকে চাল, ডালসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী যেমন দেওয়া হবে তেমনি প্রয়োজনে নগদ অর্থও দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস/