অথচ চৈত্রের ২৩ তারিখ আজ। চৈত্রের বৈশিষ্ট্য মত কাঠফাঁটা রোদ আর তীব্র গরম হওয়ার কথা থাকলেও প্রকৃতির রূপ-বৈচিত্র্য যেন নিজের মতো করে পাল্টে নিতে চায় প্রকৃতি।
সোমবার (৬ এপ্রিল) সকালে দেখা গেছে চারপাশ ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে। কিছুদূর দূরত্বে যেন কিছু দেখা যাচ্ছে না। শীতের সকালের আমেজে এক ভিন্ন আবহ তৈরি হয় প্রকৃতিতে।
কুয়াশার ঘনত্বের কারণেই সূর্যের উত্তাপ পেতে সকাল আটটা বেজে যায়। ভোর থেকে সকাল আটটা পর্যন্ত কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো ততটা তাপ ছড়াতে পারেনি। যেমনটা শীতের সকালে দেখা যায়।
প্রাতভ্রমণে বের হওয়া স্থানীয়রা বলেন, ফজরের নামাজের পর প্রতিদিনই এক/দেড় ঘণ্টা হাঁটার অভ্যাস। আজ সকালে একদম শীতের মতোই কুয়াশা। রাস্তাঘাট ঘন কুয়াশায় ঢেকে আছে। যেন পৌষ মাস!
আব্বাস আলী নামে এক ব্যক্তি বলেন, রাতে শীত পড়ে। কাঁথা-কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়। আর দিনে বেশ গরম।
তিনি আরো বলেন, করোনা আতঙ্কে আমাদের ঘরবন্দি হয়ে থাকতে হচ্ছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা করোনার অত্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। রোববার (৫ এপ্রিল) রাত থেকে পুরো শিবচর উপজেলাকেই 'লকডাউন' করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় প্রশাসন। উপজেলার প্রবেশ পথসহ বিভিন্ন স্থানের সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়। থমথমে এই পরিবেশের মধ্যে হঠাৎ করেই কুয়াশায় ঢাকা প্রকৃতি এক ভিন্ন আবহ এনে দেয়।
করোনা পরিস্থিতির এ বৈরী ভাব কেটে গিয়ে কুয়াশার চাদর ভেদ করে স্বস্তির সকাল শুরু হবে এমন প্রত্যাশা সবার।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৬, ২০২০
আরএ