ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

নিস্তব্ধ সিরাজগঞ্জ শহর

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
নিস্তব্ধ সিরাজগঞ্জ শহর

সিরাজগঞ্জ: অনেকদিন এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। জনাকীর্ণ কোলাহলপূর্ণ শহরটি নিস্তব্ধ নগরে পরিণত হয়েছে। মাঝে মাঝে পুলিশের বাঁশির হুঁইসেল আর দু’একটি পণ্যবাহী গাড়ির ভেঁপু ছাড়া আর কোনো শব্দ শোনা যাচ্ছে না।

২৪ ঘণ্টা আগেও কোলাহল মুখরিত ছিল যে শহরটি, সেটি এখন সম্পূর্ণ ফাঁকা। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, চলাচল করছে না রিকশা, ভ্যান ও ভারী যানহাবন।

 

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুরে সিরাজগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র বাজার স্টেশনের চিত্র ছিল এমনটাই। এ চিত্র শহরের চৌরাস্তা মোড়, এসএস রোড, মুজিব সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতেও। মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ টহল দিতে দেখা যায়। হ্যান্ডমাইকে লোকজনকে বের হতে বা গণ-পরিবহন চলতে নিষেধ করছেন পুলিশ সদস্যরা।  

করোনার সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা শহরবাসী অকপটে মেনে নিয়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। চলছে না রিকশা-ভ্যান, অটোরিকশা সিএনজিসহ সকল প্রকার গণপরিবহণ। বন্ধ রয়েছে শহরের সকল বিপণীবিতান। খোলা হয়নি হোটেল রেঁস্তোরা, ভাসমান দোকানপাটও।  

শহরের এমএ মতিন সড়কের ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, আগে জীবন বাঁচাতে হবে, তারপর ব্যবসা। এ কারণে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী দোকান বন্ধ রেখেছি। কনফেকশনারি আমিনুল বলেন, পুরো শহরে লোকজন নেই, একেবারে ফাঁকা। রিকশা ভ্যানও চলছে না। এরমধ্যে দোকান খুলে কোনো লাভ নেই।

অরুণিমা সঙ্গীত বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সূর্য্য বারী বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বজুড়ে মহামারিতে রুপ নেওয়া করোনা রোগের সংক্রমণ রোধে প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ। শহরবাসী সকল নির্দেশনা মেনে ঘরে রয়েছেন। সবাই বুঝতে পেরেছে আমাদের ভালোর জন্যই সরকার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে এমন জরুরি মুহুর্তে সিরাজগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা আমাদের হতাশ করেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনা, ধুলো-বালি রয়েছে। পৌর কর্তৃপক্ষ এগুলো অপসারণে গাফলিত দেখিয়ে চলছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত পৌরসভা থেকে কোনো জীবানুনাশক স্প্রে দেওয়া হয়নি।  

সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম বাংলানিউজকে জানান, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলায় ৬ শতাধিক পুলিশ সদস্য ও অফিসার্স দায়িত্ব পালন করছেন। জেলা শহরে ২৫০ জন ও প্রত্যেকটা থানায় ৩০ জন করে পুলিশ পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করবেন। যান চলাচল, গণজমায়েত নিয়ন্ত্রণ ও কোয়ারেন্টিন মেনে চলতে পুলিশ কাজ করছে। টহলরত পুলিশের পাশাপাশি রাখা হয়েছে একাধিক মোবাইল টিম।  

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) তোফাজ্জল হোসেন বলেন, জেলা প্রশাসক, ইউএনও ও এসিল্যান্ডসহ জেলায় কর্মরত ৪১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।