করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে যেন থমকে গেছে গোটা শহর। করোনা ভাইরাস মানুষের স্বস্তি প্রায় কেড়ে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) স্বাধীনতা দিবসে গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণে নেই কোনো জনস্রোত। অন্য বছরগুলোর চাইতে তাই ব্যতিক্রমই বলতে হবে স্বাধীনতা দিবসের এই দিনটিকে। সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে ছাড়ছে না কোনো গাড়ি। ফাঁকা রেলস্টেশন ও লঞ্চঘাট।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। সংবাদকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, গুটিকয়েক দোকানি ও স্বল্প আয়ের হাতেগোনা কিছু লোকজন ছাড়া কেউ বাইরে আসছেন না।
বলা যায়, করোনা আতঙ্কে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে বিভাগীয় নগরী খুলনা। এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান না মিললেও বাড়তি সতর্কতায় থমকে গেছে জনজীবন। তবে দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ।
করোনা প্রতিরোধে সরকার ১০ দিন ছুটি ঘোষণা করায় রাজধানীসহ শহরের মানুষ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে রক্ষা পেতে গ্রামে গেছেন। সেখানে তারা স্থানীয় চায়ের দোকানসহ বিভিন্ন আড্ডা স্থলে জমজমাট আড্ডা দিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে খুলনায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিদেশফেরত ১৬৭৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এছাড়া ৭৬ জনকে কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত খুলনা হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল ১৫৪৮ জন। সেই হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নতুন করে ১২৬ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় খুলনা সিভিল সার্জনের দফতর থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, বিদেশফেরত ব্যক্তিদের তাদের বাড়িতেই থাকতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, তারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন। তারপরও অন্তত ১৪ দিন তাদের বাড়ির বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, করোনার সংক্রমণ এড়াতে জনসাধারণকে জনবহুল এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সচেতনতা বাড়াতে মাইকিংসহ নানা প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৬, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/