ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২০
সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে মারধরের অভিযোগ

বরিশাল: বরিশাল নগরের কালিবাড়িরোডে অবস্থিত জগদীশ সারস্বত গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহ আলমকে মারধর ও শারীরিকভাবে হেনস্থার অভিযোগে উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক কাওসার হোসেন বাংলানিউজকে জানিয়েছেন এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। একটি ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যে অপবাদ রটানো হচ্ছে।

তিনি জানান, অধ্যক্ষের ইচ্ছে মতো হাতে লেখা একটি রুটিনে জানুয়ারি মাস থেকে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। ওই রুটিনের ফলে একজন শিক্ষককে বিভিন্নভাবে ক্লাস নিতে হচ্ছে। এতে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাই ওই রুটিনটি সঠিক (পুনরায়) করার জন্য প্রধান শিক্ষকের কাছে দাবি তোলেন সব শিক্ষকেরা। দাবী অনুযায়ী বিদ্যালয়ের শিক্ষক আসাদুল আলমকে প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি করা হলে তারা গত বৃহস্পতিবার একটি রুটিন প্রধান শিক্ষকের কাছে জমা দেন। কিন্তু এরপর ২ কর্মদিবস পার হয়ে গেলেও তা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ নেননি প্রধান শিক্ষক।

এরপর রোববার সকালে আমরা কয়েকজন শিক্ষক প্রধান শিক্ষকের কাছে যাই এবং জমা দেওয়া রুটিন কার্যকরের জন্য দাবি জানায়। কিন্তু তিনি ব্যস্ততার কারণে তা দেখতে পারেননি বলে হাতে লেখা রুটিনেই ক্লাস করাতে বলেন। এ নিয়ে সামান্য কথাকাটা হয়েছে, তবে কোনো ধরনের শারীরিক হেনেস্থা বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি।

যদিও এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ২৪ জন শিক্ষকের কেউ কিছু না বললেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা শিক্ষিকা রুজিনা মমতাজ বলেন, মারামারি বা অসৌজন্যমূলক আচারণ করার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। সেখানে শুধুমাত্র রুটিন নিয়ে কথা হয়েছে।

এদিকে কলেজ অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম জানান, শিক্ষকরা রেগুলার ক্লাস রেখে তাদের ইচ্ছে মতো প্রতিষ্ঠানের ভেতরেই কোচিং বাণিজ্যে লিপ্ত হয়ে উঠেছে। আবার যে বিষয়ের শিক্ষক নন, সেই বিষয়ে পড়ানোর জন্য কতিপয় শিক্ষক উঠে পরে লেগেছেন। যার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় তিনি বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও বোর্ড চেয়ারম্যানসহ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। এরপর থেকেই কয়েকজন শিক্ষক তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

এরই ধারাবাহিকতায় রোববার তাকে মারধর ও তার সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচারণ করা হয়েছে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হবে।

কোচিং বাণিজ্যের বিষয়ে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশনা মেনেই তারা বিদ্যালয়ের একাডেমিক সময়ের আগে সকাল ৮ থেকে ১০টা পর্যন্ত অতিরিক্ত ক্লাস নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে সাবজেক্ট প্রতি আগ্রহী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গত বছর কোচিং করা এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ক্লাসে বাংলাপ্রথম ও দ্বিতীয়পত্র মিলিয়ে ৫০০ টাকা করে দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
এমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।