ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গ্যাস সংযোগে অগ্রাধিকার পাবে শিল্পাঞ্চল

বাংলানিউজ টিম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২০
গ্যাস সংযোগে অগ্রাধিকার পাবে শিল্পাঞ্চল

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: সরকার বাংলাদেশের যে কোনো শিল্প এলাকায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের লাইন সম্প্রসারণ করতে চায় বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। 

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে সিদ্ধান্ত প্রস্তাবে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের উত্থাপতি এক নোটিশের জবাবে এ কথা বলেন নসরুল হামিদ। ভোলা জেলার লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা সদরে প্রাকৃতিক গ্যাস লাইন সম্প্রসারণ করার ব্যাপারে নোটিশ উত্থাপন করেন নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন।

 

এসময় অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

গ্যাস সংযোগের ব্যাপারে নসরুল হামিদ বলেন, আমরা গ্যাস দিয়ে পাওয়ার বানাই, সেখানে যে এনার্জি তৈরি হয় সেটার সক্ষমতা ৬৫ শতাংশ। চুলাতে গ্যাস ব্যবহার করে আমরা যে রান্না করি, তার সক্ষমতা হলো ৫ শতাংশ। দুটি চুলা এক মাসে যে পরিমাণ গ্যাস ব্যবহার করে, সেই পরিমাণ গ্যাস দিয়ে যদি গার্মেন্টেসের ব্রয়লার চালানো হয় তবে ১শ’ লোকের কর্মসংস্থান হয়। তাহলে অগ্রাধিকারটা কোথায়?

‘যে গ্যাস উত্তোলন ও সঞ্চালনে লাগে ৯ টাকা, তা আমরা বিক্রি করছে ৭ টাকায়। সেখানে সরকার বছরে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। যাতে ওই জায়গাটায় কমফোর্ট লেভেল তৈরি করা যায়। এখন যে গ্যাস আমরা ইমপোর্ট করছি, সেখানে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। যাতে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কমফোর্ট লেভেল তৈরি হয়। এই কমফোর্টটা কী কারণে?’ 

‘এটাকে যদি ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে ধরি। ইন্ডাস্ট্রি যদি গ্যাস দিয়ে চালু হয়, তাহলে যে পরিমাণ কর্মসংস্থান হবে ও যে পরিমাণ অর্থ জিডিপিতে যোগ হবে তার আয়তনটা বাসা-বাড়িতে ভাত রান্নার থেকে অনেক বেশি। কিন্তু আমরা প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাসকে বাসাবাড়ির চুলার মধ্যে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। এতে আমরা বিরতি দিতে চাই।  

নসরুল হামিদ বলেন, একারণে ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ বিভাগের কার্যক্রম সর্ম্পকে একটি সভা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ভোলা জেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন বিদ্যুৎকেন্দ্র ব্যতীত অন্য কোথাও গ্যাস সংযোগ দেওয়ার প্রয়োজন নাই। তবে সেখানে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্র ডুয়েল-ফুয়েলভিত্তিক করা হচ্ছে। যদি গ্যাস ফুরিয়ে যায়, তাহলে আমরা তেল দিয়েও চালাতে পারি। ’

‘ভোলার একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। সেখানে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা যায় না। ফলে আমরা বিকল্প হিসেবে তেল দিয়ে চালাতে পারি। প্রধানমন্ত্রী আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছেন, ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণ করে গ্যাস নেওয়া যায় কিনা তার একটি সম্ভাব্যতা যাচাই করা যেতে পারে। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা বরিশালে ইন্ডাস্ট্রি জোন করতে চাই। পাইপলাইন স্থাপন করে আমরা শিল্প উৎপাদনে সংযোগ দিতে চাই। সেটা ভোলাতে হোক বা বাংলাদেশের যে কোনো শিল্প এলাকাতে হোক। সেখানেই আমাদের অগ্রাধিকার। প্রাকৃতিক গ্যাসের লাইন অবশ্যই সম্প্রসারণ করতে চাই। সেটা হবে শিল্প এলাকায়। ’

আরও পড়ুন>>> তামাকজনিত রোগে বছরে দেড় লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০২০
এসকে/এসই/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয় এর সর্বশেষ