ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

জাতীয় ই-তথ্যকোষ: যাত্রা শুরু ডিসেম্বরে

জসীম উদ্দিন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০১০
জাতীয় ই-তথ্যকোষ: যাত্রা শুরু ডিসেম্বরে

ঢাকা: জীবন ও জীবিকাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় তথ্যের সমন্বয়ে জাতীয় ই-তথ্যকোষ তৈরি হচ্ছে। গ্রামের মানুষকে সহজে তথ্যসেবা দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এরই মধ্যে প্রায় এক হাজার বিষয়ভিত্তিক তথ্য নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে এটি চালু করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে।

এ উদ্যোগের বাস্তবায়নকারী সংস্থা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন একসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) কর্মসূচি এ তথ্য জানিয়েছে।

পরীক্ষামূলকভাবে চালু হওয়া ই-তথ্য কোষের ঠিকানা হচ্ছে: www.infokosh.bangladesh.gov.bd

এটুআইয়ের সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ নাঈমুজ্জামান মুক্তা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানান, উদ্বোধনের সময় এতে কমপক্ষে পাঁচ হাজার বিষয়ভিত্তিক তথ্য থাকবে। বর্তমানে ই-তথ্যকোষে তথ্য সন্নিবেশনের (আপলোড) কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

তিনি বলেন, ‘এটি হবে গুগলের মত বাংলাভাষার সার্চ ইঞ্জিন। বাংলা ভাষায় প্রণীত যে কোন তথ্য সার্চ দিয়ে ই-তথ্যকোষ থেকে পাওয়া যাবে। এছাড়া এতে বাংলা ভাষায় প্রণীত সব তথ্যের লিংকও দেওয়া থাকবে।

এতে কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আইন ও মানবাধিকার, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, অকৃষি উদ্যোগ, পর্যটনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় নানা ক্ষেত্রের অসংখ্য তথ্য সংযোজন করা হচ্ছে। এটুআইয়ের তৈরি করা তথ্য ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ই-তথ্যকোষে তথ্য সন্নিবেশিত করছে।

নাঈমুজ্জামান মুক্তা বলেন, ‘কেউ যদি এর ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘ধান চাষ’ শব্দ লিখে সার্চ দিলে তথ্যকোষে থাকা এ সম্পর্কিত বর্ণনামূলক তথ্য, অডিও, ভিডিও এবং এনিমেশনসহ সব তথ্য বের হয়ে আসবে। ব্যবহারকারীরা সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য ব্যবহার করতে পারবেন। জনসাধারণ যাতে সহজে এসব তথ্য পেতে এবং বুঝতে পারে সে জন্য অডিও-ভিডিও’র ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ’

মূলত সারাদেশের ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থাপিত ‘ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র’ এর জন্য একটি সমন্বিত তথ্য ভাণ্ডার চালুর লক্ষ্যেই জাতীয় ই-তথ্যকোষ তৈরি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ যে কেউ এ তথ্যকোষ ব্যবহার করতে পারবে। ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা কেন্দ্র (ইউআইএসসি) থেকে জীবন-জীবিকাসহ যে কোনো সরকারি সেবা ও তথ্য পাওয়া যাবে।  

নাঈমুজ্জামান মুক্তা জানান, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের পাশাপাশি এখন পর্যন্ত ১১টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ই-তথ্যকোষে তাদের তথ্য সন্নিবেশন করেছে। আরো ৩১টি প্রতিষ্ঠান তথ্য সন্নিবেশন করার জন্য সদস্যপদ গ্রহণ করেছে। এরই মধ্যে দুই দফায় এসব প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছে এটুআই।
 
আগামী ডিসেম্বরে ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলাতে ‘ই-এশিয়া’ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। এতে জাতীয় ই-তথ্যকোষও অংশ নেবে। ম্যানিলা থেকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনলাইনে যোগাযোগ করে জাতীয় ই-তথ্যকোষের উদ্বোধন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।