ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আইনের যৌক্তিক জটিলতা সমাধানে সুযোগ দেওয়া হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
আইনের যৌক্তিক জটিলতা সমাধানে সুযোগ দেওয়া হয়েছে

ঢাকা: নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে যে সব যৌক্তিক জটিলতা সামনে এসেছে, এগুলো সমাধানে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের বিষয়ে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের দাবিগুলো সংশ্লিষ্ট সড়ক-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ট্রাফিক সচেতনতামূলক পক্ষ উদ্বোধন শেষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ২০১৮ সালে পাস হওয়া নতুন সড়ক-পরিবহন আইন প্রয়োগে যথেষ্ট সময় দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি নতুন আইনটি প্রয়োগের ঘোষণার পর কয়েকটি যৌক্তিক জটিলতা আমাদের সামনে এসেছে। যেমন আমরা টেকনিক্যাল কারণে গাড়ির চালকদের উপযুক্ত লাইসেন্স দিতে পারছিলাম না।

‘অনেক চালকের লাইট যানবাহনের লাইসেন্স রয়েছে, কিন্তু তিনি মিডিয়াম যান চালাচ্ছেন। তার আবেদন সত্ত্বেও সিস্টেমের ঘাটতির জন্য আমরা তাকে লাইসেন্সটি দিতে পারছিলাম না। এ বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর আমরা উপযুক্ত লাইসেন্সের জন্য আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারিত সময় দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে যথাযথভাবে লাইসেন্স করে নিতে হবে। ’

তিনি বলেন, এমন আরও ছোটখাট কিছু বিষয় নিয়ে কয়েকদিন ধরে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। আমরা বলেছি, এগুলো সমাধান করে দেবো। তারাও যানবাহন চলাচল করার কথা জানিয়েছে।
 
‘এছাড়া, আইনের নয়টি ধারার ব্যাপারে তাদের আপত্তি ছিল। এটা সড়ক-পরিবহন মন্ত্রীর কাছে আমরা পাঠিয়ে দিচ্ছি। সড়ক-পরিবহন মন্ত্রী নিজেও বলেছেন, আইনে যে বিষয়গুলোতে অসঙ্গতি দেখা যায়, সেগুলো নিয়ে চিন্তা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সেটা অবশ্যই যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। কারণ আইনটি ইতোমধ্যে সংসদে পাস হয়ে গেছে। ’

এসময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে প্রধানত তিনটি বিষয় জড়িত। এগুলো হচ্ছে ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ট্রাফিক এডুকেশন, ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট। আমরা পুলিশ এনফোর্সমেন্টের শুধু একটি অংশ নিয়ে কাজ করি। এনফোর্সমেন্টে আরও অনেকগুলো সংস্থা জড়িত। কিন্তু কোথাও কোনো সমস্যা হলেই সবাই এক বাক্যে ট্রাফিক পুলিশকে দোষারোপ করেন।

আমাদের সবার মধ্যেই আইন না মারার সংস্কৃতি চালু রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা সড়ক ব্যবহার করেন তারা সবাই ভিআইপি হয়ে যান। কাউকে রাস্তায় দাঁড় করালেই, সে নিজের পরিচয় দেয় না। তিনি নিজেকে অমুকের ভাগিনা, অমুকের শ্যালক বলে পরিচয় দেন।

ট্রাফিক পুলিশকে বিনয়ের সঙ্গে আইন প্রয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আইন প্রয়োগ করার জন্য কোনো অফিসাররের বদলি হবে না। কিন্তু আপনারা বিনয়ের সঙ্গে আইন প্রয়োগ করবেন।  

ট্রাফিক শৃঙ্খলায় সবচেয়ে বড় বিষয় সচেতনতা মন্তব্য করে তিনি বলেন, মালিক, ড্রাইভার-শ্রমিক, সড়ক ব্যবহারকারী প্রত্যেকের সচেতনতা দরকার। একটি জাতিকে চেনা যায় তার ট্রাফিক শৃঙ্খলা দেখে। আসুন আমরা নিজেদের প্রমাণ করি। সবক্ষেত্রে শৃঙ্খলার প্রতিফলন ঘটুক, আর এটি ট্রাফিক দিয়ে শুরু করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০১৯
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।