ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পেইন্টিংয়ে সীসার ব্যবহার বন্ধে আইন প্রণয়নের দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
পেইন্টিংয়ে সীসার ব্যবহার বন্ধে আইন প্রণয়নের দাবি

রাজশাহী: পেইন্টিংয়ে সীসার ব্যবহার বন্ধে আমাদের আত্মসচেতন হয়ে উঠতে হবে। পাশাপাশি রংয়ের পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতিকর সীসার ব্যবহার বন্ধে নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন অত্যন্ত জরুরি।

বুধবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজশাহীভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যাসোসিয়েশন ফর কমিউনিটি ডেভেলপমেন্টের (এসিডি) প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত ‘মানব স্বাস্থ্যের ওপর সীসাজনিত বিষের বিরূপ প্রভাব’ বিষয়ক অ্যাডভোকেসি সভায় এ দাবি জানানো হয়। আন্তর্জাতিক সীসামুক্ত সপ্তাহ (২০ থেকে ২৬ অক্টোবর) ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।

এসিডির আয়োজনে এবং ‘আইপেন’ এর সহযোগিতায় সভায় সভাপতিত্ব করেন এসিডির ফিন্যান্স ডিরেক্টর পংকজ কর্মকার। সংস্থার মিডিয়া ম্যানেজার আমজাদ হোসেন শিমুলের উপস্থাপনায় এসময় ‘মানব স্বাস্থ্যের ওপর সীসাজনিত বিষের বিরূপ প্রভাব’ বিষয়ে মূল উপস্থাপনা পেশ করেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. আলী হোসেন।

পংকজ কর্মকার বলেন, ‘সীসা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমরা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্নভাবে রংযুক্ত সামগ্রির সংস্পর্শে আসি। কিন্তু আমরা জানি না, এগুলোতে কী ধরনের রঙের ব্যবহার করা হয়েছে বা কী পরিমাণে বিষাক্ত সীসা ব্যবহার করা হয়েছে। এ সীসাযুক্ত রং ব্যবহার করার ফলে বড়দের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। পাশাপাশি কোমলমতি শিশুরা আরও বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। আমরা বিভিন্ন কাজে রংয়ের ব্যবহার করে থাকি। তার মধ্যে সীসার মাত্রা থাকা উচিত ৯০ পিপিএম। কিন্তু বাস্তবে তা থাকে না। ’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন পর্যন্ত সীসাযুক্ত রংয়ের প্রস্তুত, আমদানি, বিক্রি এবং ব্যবহারের সুনির্দিষ্ট কোনো আইন বা নীতিমালা নেই। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।

পাশাপাশি সীসা পেইন্টের ঝুঁকি সম্পর্কে জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সম্পকির্ত সংবাদ বেশি বেশি প্রচার করা দরকার বলেও মন্তব্য করা হয়৷

বক্তারা বলেন, বাড়িতে পুরানো পেইন্ট, পুরানো বাড়িঘর সংস্কার, ধুলা দূষণ এবং মাটি, পুনর্ব্যবহারযোগ্য ব্যাটারি, সিরামিক গ্লাস, প্রসাধনী, শিশুদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা ও গহনায় ব্যবহৃত রংয়ের মধ্যে ক্ষতিকর সীসা রয়েছে। সীসার প্রভাবে পেটের ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, আক্রমণাত্মক, উদ্বেগ, পেশী ব্যথা, দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, শেখার অক্ষমতা, খিঁচুনি এমনকি দীর্ঘস্থায়ী সীসাজনিত বিষক্রিয়ায় মৃত্যুও ঘটে। তাই এ বিষয়ে সরকারসহ সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৩, ২০১৯
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।