ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শিশু তুহিন হত্যা: সন্দেহের জালে পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
শিশু তুহিন হত্যা: সন্দেহের জালে পরিবার শিশু তুহিন মিয়া হত্যাকাণ্ড

সুনামগঞ্জ: সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউড়া গ্রামে শিশু তুহিন মিয়া (৫) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার পরিবারের লোকজনই জড়িত বলে ধারণা করছে পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানোর ক্ষেত্রে তুহিনের স্বজনদের যোগসাজশ রয়েছে।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দিরাই থানার সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এমনই ইঙ্গিত দেন।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) ভোরে দিরাইয়ের রাজনগর ইউনিয়নের খেজাউড়া গ্রামে গাছের সঙ্গে ঝোলানো অবস্থায় তুহিনের মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের লোকজন।

তখন তার পুরো শরীর রক্তাক্ত, কান ও লিঙ্গ কাটা ছিল। এছাড়া পেটে দু’টি ছুরি বিদ্ধ ছিল। সে ছিল ওই গ্রামের আব্দুল বাছিরের ছেলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনার পর পরিবারের লোকজন কিছুই জানে না বলে দাবি করে। পরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সবকিছুর আলামত সংগ্রহ করে। দুপুরে তুহিনের পরিবারের সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ দিরাই থানায় নিয়ে আসে। তারা হলেন- তুহিনের চাচা আব্দুল মছব্বির, জমশেদ মিয়া, নাসির মিয়া, জাকিরুল, তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, তুহিনের মা খাইরুননেছা ও চাচাতো বোন তানিয়া।

মিজানুর রহমান বলেন, তাদের দীর্ঘসময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে কয়েকজন এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেন। সন্দেহ করা হচ্ছে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনো হয়েছে। আরও অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে সব কিছু বের করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এর বেশি কিছু বলা যাবে না।

সূত্রে জানা যায়, তুহিনের পেটে যে দু’টি ছুরি বিদ্ধ ছিল, তার বাটে কলম দিয়ে একই গ্রামের বাসিন্দা ছালাতুল ও সোলেমানের নাম লেখা দেখা যায়। এ দু’জন তুহিনের বাবা আব্দুল বাছিরের প্রতিপক্ষ সাবেক মেম্বার আনোয়ার হোসেনের লোক বলে পরিচিত।

হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরির মধ্যে কীভাবে নাম লেখা হয়েছে বা কারা এটি সাজিয়েছে তা-ও তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত শেষ হলে সাংবাদিকদের সবকিছু বলা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৯/আপডেট ২১২১ ঘণ্টা
এনটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।