ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

৬৮ সংস্থার টাকা যাচ্ছে সরকারি কোষাগারে, খসড়া অনুমোদন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২, ২০১৯
৬৮ সংস্থার টাকা যাচ্ছে সরকারি কোষাগারে, খসড়া অনুমোদন সাংবাদিকদের সঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: স্বশাসিত সংস্থাগুলোর বিভিন্ন ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে থাকা দুই লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা নিজের কোষাগারে আনতে আইনের খসড়া অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষ, পাবলিক নন ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ স্বশাসিত সংস্থাগুলোর উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া আইন-২০১৯ সংক্রান্ত একটি খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।

সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।

তিনি বলেন, আমাদের স্বশাসিত সংস্থাগুলোর দুই লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা স্থিতি হিসেবে বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে। এই টাকা কোনো ভালো কাজে বিনিয়োগ হচ্ছে না। সরকারের পলিসি হলো আজকের অনুমোদিত আইনের মাধ্যমে কিছু প্রভিশন রেখে বাকি টাকা সরকারি কোষাগারে নিয়ে আসা হবে। যা জনকল্যাণমূলক কাজে, যেমন আমাদের অনেক প্রজেক্ট রয়েছে, যেগুলো আর্থিক সংকটের কারণে এগোচ্ছে না, সেখানে ব্যয় করা হবে।

সচিব বলেন, স্বায়ত্তশাসিত বা অন্যান্য সংস্থাগুলো পরিচালন ব্যয়, নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয় প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ও বার্ষিক ব্যয় নির্বাহের জন্য ২৫ শতাংশ অর্থ সংরক্ষণ করতে পারবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশে উদ্বৃত্ত অর্থ রয়েছে ৬৯টি প্রতিষ্ঠানের। তবে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) বাদ দিলে মোট ৬৮টি প্রতিষ্ঠান। এদের মধ্যে ২৫টি শীর্ষ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেমন- বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের ২১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, পেট্রোবাংলার ১৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা, বিপিডিবি বা পিডিপি’র ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা, চট্টগ্রাম বন্দরের ৯১৩ কোটি টাকা, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চার হাজার ৩০ কোটি টাকা রয়েছে। এছাড়া শিক্ষাবোর্ডগুলোর মধ্যে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা ও বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের ৪২৫ কোটি টাকা এবং জাতীয বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই হাজার ২৫ কোটি টাকা আছে।

এক প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, আইনি অধিকারের কোনো ক্ষুণ্ন করা হবে না। সংস্থাগুলোর টাকার প্রয়োজন হলে সরকার সেটা দেবে। স্বায়ত্তশাসনে ও আর্থিক ডিসিপ্লিনে কোনো সমস্যা নেই। যে আইডল মানি আছে, সেটাকে সরকার কাজে লাগাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০২, ২০১৯
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।