ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় মদদদাতাদেরও বিচার হবে’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৯
‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় মদদদাতাদেরও বিচার হবে’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: যুদ্ধাপরাধীদের মতো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনের মদদদাতাদেরও খুঁজে বিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের অ্যালামনাই ফ্লোরে এক আলোচনাসভায় তিনি একথা জানান। বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

 

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. ফরাস উদ্দীন, কবি নির্মলেন্দু গুণ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার।

মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান প্রমাণ রেখেছেন তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনি। বঙ্গবন্ধুকে যারা খুন করেছে তাদের শাস্তি হয়েছে। কিন্তু হত্যাকাণ্ডে যারা সহায়তা করেছে, সেদিন পাকিস্তান দূতাবাস ও মার্কিন দূতাবাস সারারাত খোলা ছিল; সেগুলোর কারণ উদঘাটনের জন্যই আজকে দাবি উঠেছে। কমিটি গঠন করে তদন্ত কমিশন করে বঙ্গবন্ধুর খুনের মদদদাতা কারা এদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা ৪৭ বছর পর যদি যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে পারেন, এ বিশ্বাসও আমরা রাখি, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মদদদাতাদের বিচারও বাংলার মাটিতে হওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, শেখ মুজিব শুধু রাষ্ট্রপ্রধানই নন, যিনি নিজে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছেন, সারাজাতিকে স্বাধীনতার স্বপ্নে উদ্ভাসিত করেছেন এবং স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। হত্যাকারীরা জানতো বঙ্গবন্ধুর রক্তের ছিটেফোঁটা থাকলেও তাকে কেন্দ্র করে বাংলার মানুষ আবার ঘুরে দাঁড়াবে। ওদের আশঙ্কা যে সঠিক ছিল সেটা প্রমাণ হয়নি? আজকে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ পরবর্তীতে দেশের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করা যাবে তার আদর্শ ধারণ করার মাধ্যমে। তবে ষড়যন্ত্রকারীদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

কবি নির্মলেন্দু গুণ স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমার মাঝে মাঝে মনে হয় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা লেখার জন্য আমার জন্ম হয়েছিল। আমি যখন কলেজে পড়তাম তখন নির্বাচনের কাজে বঙ্গবন্ধু যখন ট্রেনে করে যাচ্ছিলেন তখন আমরা তাকে দেখি। পরবর্তীতে ছয় দফা ঘোষণার পর কারাবন্দি হলে আমি বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গ করে কবিতা লিখি।

অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু কেন আজও প্রাসঙ্গিক তা তরুণ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে  হবে। সোনার বাংলা গড়ার জন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
এসকেবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।