ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চার জেলায় ডেঙ্গুজ্বরে ৫ জনের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
চার জেলায় ডেঙ্গুজ্বরে ৫ জনের মৃত্যু প্রতীকী ছবি

ঢাকা: দিনকে দিন বেড়েই চলেছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হওয়া রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে চিকিৎসাধীন রোগীদের মৃত্যুর খবর।

সোমবারও (১৯ আগস্ট) বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ এবং ফরিদপুরে মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত পাঁচজনের। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

বাংলানিউজের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে এ তথ্য জানা যায়।

বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ডেঙ্গুজ্বরে সুমাইয়া (১৮) নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়। সুমাইয়া পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বাসিন্দা। ১৯ আগস্ট দুপুরে শেবাচিম হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মত্যু হয়। এর আগে ১৬ আগস্ট বিকেলে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন স্বজনরা।

এ বিষয়ে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত সুমাইয়ার ভর্তির সময় বমি ও পেটে ব্যথা ছিল। তার লাঞ্চে পানি জমে গিয়েছিল। তবে কিডনি ও লাঞ্চ দুটোই আক্রান্ত হওয়ায় সমস্যা বেড়ে গেছে। পরে গতরাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় আইসিইউতে। সেখানে আজ দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টায় সবজিবিক্রেতা মিজানুর রহমানের (৪০) মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ডেঙ্গুতে খুলনায় মোট ৫ জনের মৃত্যু হলো।

খুমেক হাসপাতালের আ‌বা‌সিক ফি‌জি‌সিয়ান (আরপি) ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস মৃত্যুর বিষয়টি জানান।

এর আগে ১৫ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) মিজানুর রহমান খুমেকের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি হ‌য়ে‌ছি‌লেন। মিজানুর রহমানের বাড়ি রূপসা উপজেলার খাজাডাঙ্গা গ্রামে। তার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

ময়মনসিংহেও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আনোয়ার হোসেন (৪৬) ও সেলিম (৩০)  নামের দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুর আড়াইটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেলিম এবং রোববার (১৮ আগস্ট) দিনগত রাতে আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়। আনোয়ারের বাড়ি নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায়। আর সেলিমের বাড়ি নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়।

এর আগে, গত ১১ আগস্ট সকালে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোরগঞ্জের ইটনা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র ফরহাদের (২০) মৃত্যু হয়। এছাড়া গত ১৮ আগস্ট রাতে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় রাসেল (৩৫) নামে এক যুবকের।

মমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এ বি এম শামসুজ্জামান সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, গত রোববার (১১ আগস্ট) আনোয়ার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তবে তার সম্পর্কে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য আমাদের জানা নেই।

সেলিমের মৃত্যুর বিষয়ে মমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক বলেন, গত মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সেলিম জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ সকালে তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

এদিকে ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) সকালে তার মৃত্যু হয়। এনিয়ে ফরিদপুরে ডেঙ্গুজ্বরে সাত জনের মৃত্যু হলো। দেলোয়ার ফরিদপুর সদর উপজেলার গোরডাঙ্গীর চর এলাকায় বাসিন্দা। তিনি জেলা শহরের পূর্ব খাবাসপুর লঞ্চঘাট মসজিদের খাদেম হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন বলে জানা গেছে।

ফরিদপুর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান বুলু বাংলানিউজকে বলেন, দেলোয়ার জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। পরে রোববার (১৮ আগস্ট) সেখান থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এমএস/ এমআরএম/ এমএএএম/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।