ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি, দর্শনার্থীদের ভিড়

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি, দর্শনার্থীদের ভিড় চিড়িয়াখানার প্রাণী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বৈরী আবহাওয়ায়ও ঈদুল আজহার তৃতীয় দিনে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকালে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও দুপুর গড়াতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় চিড়িয়াখানার ভেতর ও বাহির।

বুধবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর মিরপুরের চিড়িয়াখানা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।

ফার্মগেট থেকে দুই সন্তান নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন সাইফুল ইসলাম।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অনেকদিন ধরেই ছেলেদের আবদার ছিল চিড়িয়াখানা ঘুরানোর। তাই ঈদের ছুটিতে তাদের নিয়ে আসলাম। বৃষ্টিতে একটু কষ্ট হলেও সন্তানরা যে আনন্দ পেয়েছে তাদের আনন্দের কাছে এ কষ্ট কিছুই না বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন, পুরো চিড়িয়াখানা ঘুরে ভালোই লাগলো। তবে মনে কিছুটা আতঙ্ক কাজ করছিল। সন্তানদের বলছিলাম হাত-পা সব সময় নড়া-চড়া করতে যাতে মশা কামড়াতে না পারে।

চিড়িয়াখানায় এসে বাঘের গর্জন শুনে আনন্দিত ১২ বছরের শিশু হৃদয়। সে বাংলানিউজকে বলে, আমি বাঘের গর্জন টেলিভিশনে অনেক শুনেছি কিন্তু সামনা সামনি এই প্রথম শুনলাম এবং দেখলাম। আমার অনেক আনন্দ লাগছে। আবার বাবাকে বলবো চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসার জন্য বলেও জানায় হৃদয়। চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড়।  ছবি: বাংলানিউজহৃদয়ের বাবা খাইরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, আমি কারওয়ান বাজারে সবজির ব্যবসা করি, সময় পাই না ছেলেকে নিয়ে ঘুরতে। ঈদে বেচাকেনা কম থাকায় তাই চলে আসলাম ভালোই লাগলো। ছেলের আনন্দই মানে আমার আনন্দ। তবে চিড়িয়াখানার পরিবেশ আরেকটু পরিচ্ছন্ন হলে আরও ভালো লাগতো। ভেবেছিলাম বৃষ্টিতে চিড়িয়াখানায় মানুষ কম হবে কিন্তু এসে দেখি প্রচণ্ড ভিড়।

এ ব্যাপারে জাতীয় চিড়িয়াখানা কিউরেটর এস এম নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বৃষ্টির মধ্যেও অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রের চেয়ে আমাদের এখানে ভিড় সবচেয়ে বেশি। বৃষ্টির মধ্যেও আমাদের এখানে এক লাখের বেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করেছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বৃষ্টি ছিল না তাই দেড় লাখেরও বেশি দর্শনার্থী প্রবেশ করেছিল। চিড়িয়াখানায় দুই বছরের ঊর্ধ্বে সবার জন্য   প্রবেশ মূল্য ৫০ টাকা।  তবে ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় শিক্ষার্থীদের প্রবেশ মূল্যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।  

তিনি বলেন, ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় অনেক মানুষই  গ্রামের বাড়িতে  চলে গেছেন এজন্য এ সংখ্যাটা একটু কম। তা না হলে এর সংখ্যা দ্বিগুণ হতো। ১৮৭ একর জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা চিড়িয়াখানায় এ মুহূর্তে ১৩৭ প্রজাতির দুই হাজার ৭৯৬টি প্রাণী রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ পর্যন্ত আমাদের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়নি। প্রতি রোববার আমাদের পুরো চিড়িয়াখানা পরিষ্কার করা হয়। এছাড়াও প্রতিদিনের পরিচ্ছন্নতা তো আছেই।
দর্শনার্থীদের আকর্ষণ বাড়াতে এ বছর আমরা একজোড়া রয়েল বেঙ্গল টাইগার, এক জোড়া মেছো চিতাবাঘ, একজোড়া ইম্পালা যুক্ত করেছি। এছাড়া একজোড়া হাতি ও আমরা এনেছি।

এ বছর আমরা একটি গন্ডার ও একজোড়া শিম্পাঞ্জি আনবো। শুধু তাই নয় দর্শনার্থীদের চলাফেরার জন্য ভেতরে সব রাস্তার সংস্কার কাজ চলছে বলেও জানান কিউরেটর নজরুল।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
এসএমএকে/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad