বুধবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকে বরিশাল নগরের পোর্ট রোডস্থ একমাত্র বেসরকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে স্থানীয় নদ-নদীর ইলিশ আসতে শুরু করেছে। সকালে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে সামুদ্রিক ইলিশ নিয়ে ৮টি ফিশিং বোট নোঙর করে।
ফিশিং বোটের জেলে আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে বলেন, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর আমরা সাগরে মাছ ধরেতে গেছি। গভীর সাগরে যাওয়ার জন্য আগে ভাগেই রওয়ানা দিছিলাম। সাগরে ভালোই ইলিশ ধরা পড়ছে। কম সময়ে যা পেয়েছি তা বেশ ভালোই। তাই বিক্রির জন্য বরিশাল ঘাটে এসেছি।
বোটের মাঝি করিম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশ্বিন মাস পর্যন্ত ভালো মাছ ধরা পড়বে। সাগরে প্রচুর মাছ আছে।
বোট মালিক ও জেলেদের অভিযোগ, বাংলাদেশ সীমানায় ঢুকে ভারতীয় জেলেরা নিষেধাজ্ঞার সময় প্রচুর ইলিশ ধরে নিয়ে গেছে। এতে দেশের মৎস্য খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সাগরে জেলেদের জালে আশানুরূপ ইলিশ ধরা পড়ার কথা জানিয়ে পোর্ট রোডের ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন বলেন, যতদূর খোঁজ পেয়েছি সাগরে ইলিশ ধরা পড়ছে। আজ সকালেও বরিশাল ঘাটে কিছু ফিশিং বোট ইলিশ মাছ নিয়ে এসেছে। তবে আরও বেশি ফিশিং বোট মাছ নিয়ে বাজারগুলোতে পৌঁছালে বাজারে ইলিশের আমদানি যেমন বাড়বে, তেমনি দরও কমবে। তবে এজন্য আরও ৪/৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, বুধবার সকালসহ গত ২ দিনে পোর্ট রোডের অবতরণ কেন্দ্রে গোটলা সাইজের ইলিশের দর ছিল মণপ্রতি ২০-২১ হাজার, ভেলকা সাইজের ২৭ থেকে ২৮ হাজার, এলসি সাইজের (৬ থেকে ৯’শ গ্রাম ওজন) ৪০ হাজার, কেজি সাইজের ৫২ হাজার, কেজির ওপরে ৫৮ থেকে ৬০ হাজার এবং দেড় কেজি ওজনের হলে ১ লাখ ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা।
তবে সপ্তাহ খানেক আগেও এ বাজারে গোটলা সাইজের ইলিশের দর ছিল মণপ্রতি ২৫ হাজার, ভেলকা সাইজের ৩৫ থেকে ৩৬ হাজার, এলসি সাইজের (৬ থেকে ৯ শত গ্রাম ওজন) ৫২ হাজার, কেজি সাইজের ৬০ হাজার এবং দেড় কেজি ওজনের মণপ্রতি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
মৎস্য কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস জানান, নিষেধাজ্ঞার সুফল জেলেরা পেতে শুরু করেছে। সাগরে মাছ ধরা পড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাজারে ইলিশের আমদানি বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এমএস/এইচএডি