শনিবার (১৩ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামগুলোর অধিকাংশ সড়কের বিভিন্ন স্থান ধসে পড়েছে। এখনও নদীর ভাটি অঞ্চলে ডুবে আছে মাঠের আমন বীজতলা।
এদিকে বর্ষা মৌসুমে মুহুরী-কহুয়া নদীর বাঁধের ভাঙা অংশ পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামতের নিশ্চয়তা দিতে না পারায় আবারও পানিতে ভাসার আশঙ্কায় আছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় প্রশাসনের তথ্য মতে, মুহুরী-কহুয়া প্রকল্পের মোট ১ শত ২২ কিলোমিটার বাঁধের ১২টি স্থানে ভাঙনের ফলে দু’টি উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি আর ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মঙ্গলবার রাতে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলা অংশে কমপক্ষে ১২টি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হলে ভেসে যায় দুই উপজেলার ১৫টি গ্রাম। পরের দিন থেকে সে পানি ছড়িয়ে পড়ে আরও ১১ গ্রামে। পানিবন্দী থাকার ৪ দিন পর এসব এলাকায় পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত বসত বাড়ির ও রাস্তা ঘাটের পানি নামতে শুরু করেছে। পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান হচ্ছে ক্ষতচিহ্ন।
স্থানীয় সাঈদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, বাচ্চাদের নিয়ে ভয়ে আছি। চারিদিকে পানি, সাপের ভয়। প্রতিবছর আমাদের এমন বিপদে পড়তে হয়। আমাদের কেউ এসে দেখেও যায় না।
ফুলগাজী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবদুল আলীম বাংলানিউজকে বলেন, নদীর বাঁধ ভাঙনের স্থায়ী সমাধানে নদী সংস্কার ও দখলমুক্তসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
এদিকে ফেনীর জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান মানুষের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০১৯
এসএইচডি/এইচএডি