জানতে চাইলে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিন্টেনডেন্ট আবদুল করিম বাংলানিউজকে বলেন, চারঘাটের হলিদাগাছিতে লাইনচ্যুত বগিগুলোর উদ্ধারকাজ শেষ হয়নি। যে কারণে রেললাইনও মেরামত হয়নি।
এর আগে বুধবার রাতের রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন ধূমকেতু এক্সপ্রেসের যাত্রাও বাতিল করা হয়। ইশ্বরদীগামী কমিউটার ট্রেনও ছেড়ে যেতে পারেনি। এছাড়া ঢাকা থেকে রাজশাহী অভিমুখে ছেড়ে আসা আন্তঃনগর ট্রেন সিল্কসিটি নাটোরের আবদুলপুরে এবং বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহীর আড়ানিতে আটকা পড়ে আছে। এতে পুরো পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
এদিকে, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক খন্দকার শহীদুল ইসলাম জানান, বুধবার রাতে ইশ্বরদী থেকে রিলিফ ট্রেন এলেও বৃষ্টির জন্য উদ্ধারকাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত তিনটি বগি উদ্ধার করা হয়েছে। এখন বৃষ্টি না হলে দ্রুতই উদ্ধার কাজ শেষ হবে। তবে এতে বিকেল পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরপরও যত দ্রুত সম্ভব উদ্ধার কাজ শেষ করে রাজশাহী-ঢাকা রেলপথ আবার স্বাভাবিক করার জোর চেষ্টা চলছে। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হলিদাগাছির দিঘলকান্দি ঢালানের কাছে তেলবাহী ট্রেনের ৮টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি। তেলবাহী ওই ট্রেনটি খুলনা থেকে রাজশাহীর হরিয়ানের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। ট্রেনটি ঈশ্বরদী হয়ে রাজশাহী অভিমুখে যাচ্ছিল। পথে হলিদাগাছিতে লাইনচ্যুত হয়।
ট্রেনটির মাঝখান থেকে বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়। তাই পরে আটটি বগি রেখে সামনের অন্য বগিগুলো নিয়ে তেলবাহী ওই ট্রেন রাতেই হরিয়ান রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। রাত পৌনে ১০টার দিকে রিলিফ ট্রেন সেখানে পৌঁছায়। তবে বৃষ্টির কারণে উদ্ধারকাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়।
এদিকে, ঘটনার পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় ট্রান্সপোর্ট অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। এই কমিটিকে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৯
এসএস/এইচএ/
** উদ্ধারকারী ট্রেন পৌঁছলেও বৃষ্টিতে কাজ ব্যাহত