সদ্য চীন সফর শেষে সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রত্যেক দেশ তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে সে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকটা দেশ তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে, সেটাই আমরা চাই। আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। আমরা এটাই চাই যে, মার্কিন কংগ্রেসম্যান এসব কথা না বলে, বরং মিয়ানমার যেন তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যায়, সে কথা বলেন ও কাজ করেন। সেটাই হবে মানবিক দিক।
তিনি আরও বলেন, যেখানেই তারা হাত দিয়েছে, সেখানেই তো আগুন জ্বলছে। কোথাও তো শান্তি আসেনি, বরং জঙ্গিবাদ সৃষ্টি হয়েছে, অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের অঞ্চলটাতে আমরা একটু শান্তিপূর্ণভাবে থাকার চেষ্টা করছি। এখানে এটা কখনোই গ্রহণযোগ্য না।
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে যখন আলোচনা শুরু হয় তখনই আমি পিএসসির চেয়ারম্যানকে ডেকে এ বিষয়ে আলোচনা করি। কিন্তু এটা সম্ভব না।
পড়ুন>> রোহিঙ্গাদের ফেরাতে চীনের আশ্বাস পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
গত কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষায় পাসের পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটু দেরি হলেও ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮-তে ইন্টারমিডিয়েট, চার বছর অনার্স, এক বছর মাস্টার্স। সে হিসেবে ২৩-২৪ বছরে পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারে।
তিনি বলেন, কাজ করার জন্য একটা সময় থাকে, বয়স থাকে। একটা সময় পর তা আর হয় না। তাই শুধু আন্দোলন করার জন্যই যদি দাবি তোলা হয়, তাহলে কিছু বলার নেই। এক্ষেত্রে তারা হয়তো কোনো জায়গা থেকে সুবিধা-অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন কিনা- সেটিও বিষয়।
‘এ নিয়ে পার্লামেন্টেও একটা প্রস্তাব হয়েছে। তারা আন্দোলন করেই যাবে। আন্দোলন করুক। আন্দোলন করলে অন্তত রাজনীতিটা হয়তো শিখবে। ’
এসময় পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৯
এসকে/একে/এমএ