বৃহস্পতিবার (০৪ জুলাই) বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত প্রথম দিনের তদন্ত কার্যক্রম শেষে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন।
জেলা প্রশাসনের গঠিত ৯ সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সমির কুমার বসাক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা প্রথমদিনের তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি।
‘মাঝখানে শুক্রবার ও শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় আমরা সোমবার (৮ জুলাই) পর্যন্ত তদন্ত কার্যক্রম চালাবো। সেদিন এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। ’
তিনি জানান, প্রথমে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও পরবর্তীতে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও তিতাস গ্যাসের ডিএমডিকে তদন্ত কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির অন্যতম সদস্য ও স্থানীয় গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দু’টি ভবনই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। ৬ তলা ভবনটি বসবাসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে পাশের চারতলা ভবনে নকশায় ত্রুটি মিলেছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আহ্বানে বুধবার (০৩ জুলাই) রাত ১২ টা থেকে সাড়ে ১২ টার মধ্যেই ভবন দু’টি ছেড়ে যান সেখানে অবস্থানরত বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবারও হেলে পড়ার অভিযোগ ওঠা ভবনটির মালিক ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান দুলাল বাংলানিউজের কাছে দাবি করেছেন, আমার সঙ্গে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যারা পেরে ওঠেনটি তারাই আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করেছেন।
‘এ চক্রান্তের অংশ হিসেবেই তারাই প্রথম ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়ে তুলকালাম কাণ্ড বাঁধিয়েছেন। সোমবার তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলেই প্রমাণিত হবে আমার ভবনটি সম্পূর্ণ ঝুঁকিমুক্ত। তখন ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচিত হবে। ’
এর আগে বুধবার (০৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে নগরীর সানকিপাড়া শেষ মোড় এলাকায় একটি ৬ তলা ভবন পাশের ৪ তলা ভবনের ওপর হেলে পড়েছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে।
পরে দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে আসে। স্থানীয় জেলা প্রশাসন ও গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৯
এমএএএম/এমএ