শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনা অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।
কামরুল ইসলাম বলেন, দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো, কিন্তু সামাজিক অবক্ষয়, মানুষের মধ্যে পশু প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুতবিচার করতে হবে। দ্রুতবিচার অবশ্য হচ্ছে। আমরা বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ডের বিচার সাত মাসের মধ্যে করেছি। নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের বিচার আমরা করেছি। পিলখানায় বিডিআর (সাবেক) হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা করেছি। নুসরাত হত্যার বিচার দুই-তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করছি।
কামরুল ইসলাম বলেন, নিম্নআদালতে বিচার পেলেও মানুষ তাতে খুশি নয়। মানুষ বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর চায়। নিম্নআদালতে বিচারের পর হাইকোর্টে আপিলের পর আটকে থাকে। এই মামলার রায়গুলো হাইকোর্টে যাওয়ার পর সেটা আটকে যায়। এই মামলাগুলা যখন হাইকোর্টে যায়, তখন সেগুলো যেন দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি হয়, সে ব্যবস্থা করতে হবে। এটা হলেই আমরা বলতে পারি দ্রুত সময়ে বিচার পাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে হাইকোর্ট রুল দিচ্ছেন দ্রুতবিচার করার জন্য। কিন্তু এজন্য আইন সংশোধনের প্রয়োজন হলে আইনমন্ত্রীকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। মনুষ্যত্ব বিবর্জিত যে কাজগুলো হচ্ছে, সেগুলোর বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করতে না পারলে হবে না।
** ‘আল্লাহ আপনাদের আন্দোলন করার ক্ষমতাও কেড়ে নিয়েছেন’
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৫ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
এসই/জেডএস