ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

‘প্রধান আসামিদের গ্রেফতারে গাফিলতি দেখলেই ব্যবস্থা’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২১ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০১৯
‘প্রধান আসামিদের গ্রেফতারে গাফিলতি দেখলেই ব্যবস্থা’

বরিশাল: বরগুনায় রিফাতকে নৃশংস কায়দায় কুপিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত দুইজনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এজাহারভুক্ত দুইজন ছাড়া অপর আসামিকে ভিডিও ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের। তবে এখন পর্যন্ত প্রধান তিন আসামি নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজীকে গ্রেফতার করতে না পারায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে বরগুনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বরিশাল রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম বলেছেন, রিফাত হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে সব জেলার পুলিশকে সতর্ক করা হয়েছে এবং সবজায়গায়ই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে তৎপরতা চলছে। আর যদি এ ঘটনায় আমরা কোনো পুলিশ সদস্যের গাফিলতি দেখি বা যদি মনে হয় কেউ তার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দিচ্ছে না, তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

 

এর আগে বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার কারণে আকস্মিক একটি লোমহর্ষক নৃশংস ঘটনা ঘটেছে। রিফাত হত্যায় সব আসামিদের ধরার জন্য যা যা করার গোপনে এবং প্রকাশ্যে তা আমরা করছি এবং করবো। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।  

বুধবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাতকে। পরে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের বাধা দিয়েও স্বামীকে বাঁচাতে পারেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী শফিকুল ইসলামের মতে, রিফাতের হত্যাকারীরা দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় থেকে নানান অপকর্ম করলেও প্রতিবাদ করে প্রতিকার পাননি কেউ। আর এবার হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েও তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।  

জানা যায়, বরগুনা পৌর শহরের ডিকেপি রোড এলাকার মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে সাব্বির আহমেদ নয়ন (নয়ন বন্ড)। ছিনতাই, ছাত্রদের মোবাইল ফোন জিম্মি করে টাকা আদায়, মারধর থেকে তার অপরাধ প্রবণতা শুরু হলেও ধীরে ধীরে মাদক কারবারসহ বড় ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়েন তিনি। পরে নয়ন স্থানীয় যুবকদের নিয়ে একটি গ্রুপও তৈরি করেন। তার প্রধান সহযোগী ছিলেন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি সড়কের দুলাল ফরাজীর দুই ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী।  

অনুসন্ধানে জানা গেছে, নয়ন জেমস বন্ডের নামের শেষ অংশ নিজের নামের সঙ্গে জুড়ে দেন এবং বনে যান নয়ন বন্ড।  নয়ন ও তার সহযোগীরা নিজেদের মাঝে যোগোযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ‘০০৭’ নামে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ চালাতেন।

নয়নের বিরুদ্ধে বরগুনা থানায় মাদক ও অস্ত্রসহ ৮টি এবং রিফাত ফরাজীর বিরুদ্ধে ৪টি মামলা রয়েছে। কিন্তু সব মামলাতেই আসামিরা আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে নয়ন-রিফাতসহ তিনজনই পলাতক।

বাংলাদেশ সময়: ২২১৬ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
এমএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।