নিহত আনিকা কুমিল্লার দ্বিতীয় মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দা মৃত প্রকৌশলী মামুনুর রশিদের মেয়ে। পাঁচ মাসের ব্যবধানে বাবা-মেয়ের দু’জনের মৃত্যু হলো।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকেলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জের টামটা এলাকায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুমিল্লা অভিমুখি রয়েল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি ডোবায় পড়ে যায়। এসময় বাসে থাকা অন্তত ১২জন যাত্রী আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর দায়িত্বরত চিকিৎসক মেডিক্যাল ছাত্রী আনিকা আক্তার তাহসিন ও জেলার বুড়িচং উপজেলার মিথিলাপুর গ্রামের মৃত সফিকুর রহমানের মেয়ে রৌশন আরাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতে আনিকার মরদেহ বাড়িতে আনার পর স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মরদেহ দেখতে আনিকার আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠীসহ এলাকার শোকার্ত লোকজন বাড়িতে ভিড় জমায়।
স্থানীয়রা জানান, ৫ বোনের মধ্যে সে ছিলো সবার কনিষ্ঠ ও খুব মেধাবী। ৫ মাস আগে আনিকার বাবা প্রকৌশলী মামুন মারা যান। তাই ওই পরিবার একটি শোক কাটিয়ে না উঠতে সবার আদরের কনিষ্ঠ আনিকাকে হারিয়ে শোকে স্তব্ধ পুরো পরিবার। শুক্রবার বাদ জুমায় এলাকায় নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
তার বড় বোন তাননিয়া আল নিসা জানান, বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিলো আনিকা একজন বড় চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবায় কাজ করবে, কিন্তু একটি দুর্ঘটনা আমাদের পরিবারের সবার স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিলো।
স্থানীয় শিক্ষার্থী রেহমান জানান, মেয়েটি অনেক ভদ্র ছিলো। সদা হাস্যোজ্জ্বল ছিলো। মহাসড়ক চলাচলরত যানবাহনগুলো আর যেন কোলো বাবা-মায়ের আদরের সন্তানকে এভাবে কেড়ে না নেয় সেজন্য চালকদের সচেতন হওয়া উচিত। গাড়ি চালানোর সময় যাতে চালকরা মোবাইল ফোনে কথা না বলে সে বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও পরিবহন নেতাদের দৃষ্টি দেওয়া উচিত। অন্যথায় সড়কে মৃত্যু মিছিল থামবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০১৯
এএটি