পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হেমায়েত উদ্দিনের তত্ত্বাবধায়নে মঙ্গলবার (১৮ জুন) তাদের শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, মঙ্গলবার (১৯ জুন) দিনগত রাত ১টার দিকে হাসপাতালে ৬ জন চায়না নাগরিককে ভর্তি করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মাহাবুবুর রহমান।
আহতদের সঙ্গে আসা দোভাষি জানান, বাঙালি এক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। যেখানে ৮ জন চীনা নাগরিক আহত হলে তাদের মধ্যে ৬ জনকে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে।
চীনার এ নাগরিকদের আহত হওয়ার পুরো বিষয়টি নিশ্চিত করে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. হেমায়েত উদ্দিন জানান, আহতরা সবাই পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিশানবাড়িয়া ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রে কর্মরত এবং চীনার নাগরিক। পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে আহত ছয়জনকে প্রথমে পটুয়াখালী হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন। এখানে তাদের চিকিৎসা শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য তিনিসহ বরিশাল জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা রয়েছেন।
এদিকে রাতে মোস্তাফিজুর রহমান নামে এক বাঙালি শ্রমিক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জরুরি বিভাগের দায়িত্বরতরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল পৌনে তিনটার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নিশানবাড়িয়া ১৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রে দুর্ঘটনায় সাবিন্দ্র দাস (৩২) এক বাঙালি শ্রমিকের মৃত্যু হয়। তিনি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার জয়নগর গ্রামের নগেন্দ্র দাসের ছেলে।
এ মৃত্যু নিয়ে বাঙালি ও চীনা শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
রাতে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম স্থানীয় জানান, পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পাশাপাশি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
এমএস/এএটি