ঢাকার উদ্দেশ্যে সড়কপথে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তাকে বহন করা অ্যাম্বুলেন্সটি শেবাচিম হাসপাতাল ত্যাগ করে।
বিষয়টি নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের দায়িত্বরত ব্রাদার লিংকন দত্ত বলেন, আগুনে শাজেনূরে ৪৫ শতাংশ পোড়া রয়েছে।
এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শাজেনূরকে নগদ ১২ হাজার টাকার সহায়তা দিয়েছেন বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস।
দগ্ধ শাজেনূরের চাচাতো ভাই মো. ইব্রাহিম বলেন, বেল্লাল হোসেনের সঙ্গে প্রায় দেড় বছর আগে শাজেনূরের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে স্থানীয় পর্যায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। সালিশে বেল্লাল হোসেন মা-মেয়েকে আগুনে পুড়ে মারার হুমকিও দিয়েছিলেন।
শাজেনুর বেগমের বোন বলেন, বুধবার (১২ জুন) রাতে বেল্লাল হোসেন আমার বাবকে মারধর করে এবং এরপর তাকে তালাক দেওয়ার কথা বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে পেট্রোল দিয়ে ঘরে আগুন দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মেয়ে কারিমার মৃত্যু হয় ও শাজেনূর দগ্ধ হয়।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার সদর পাথরঘাটা ইউনিয়নের পূর্ব হাতেমপুর গ্রামের খালের পাশে একটি আম গাছ থেকে অভিযুক্ত বেলাল হোসেনের (৩৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘন্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এমএস/এএটি