বুধবার (১২ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান তাকে প্রত্যাহার করে প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত করার নির্দেশনা দেন।
অভিযোগ রয়েছে, নাসিরনগর সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বজলুল হক ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা ছাড়া কোনো জায়গার খারিজ দলিল করেন না।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বাংলানিউজকে বলেন, বজলুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা তাকে প্রত্যাহার করেছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জাননা তিনি।
এরআগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বজলুল হকের বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। এসময় বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের ভবনে ডিজিটাল সাইনবোর্ড রয়েছে, ‘দুর্নীতিমুক্ত উপজেলা প্রশাসন’। অথচ ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না। আর এসব কর্মকাণ্ডের জন্য সদর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বজলুল হকের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি চান তারা।
পরে তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে একটি স্মারকলিপিও দেন তারা। স্মারকলিপির একটি অনুলিপি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। মানববন্ধন ও অভিযোগের ঘটনায় ওই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা বজলুল হককে প্রত্যাহার করেছেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩১ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০১৯
জিপি