ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইফতারে মন ভোলাচ্ছে ‘শাহী জিলাপি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, মে ৮, ২০১৯
ইফতারে মন ভোলাচ্ছে ‘শাহী জিলাপি’ ইফতারে মন ভোলাচ্ছে শাহী জিলাপি। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বলা হয়, যে কোনো দিনই সহজ পথে চলবে না, তা-ই হলো জিলাপি। তার স্বভাবই পেঁচানো। বিশেষত দুধ, ছানা ইত্যাদি ছাড়া যে মিষ্টিগুলো আমাদের দেশে তৈরি হয়, তার মধ্যে জিলাপি অন্যতম। আর রমজান মাসে এ জিলাপি দিয়ে মিষ্টিমুখ করতে পছন্দ করেন অনেক রোজাদার। ফলে প্রতি বছর রোজা এলেই জিলাপির কদর দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

এছাড়া গ্রামীণ জনপদ কিংবা শহর এলাকায় এখনও বিভিন্ন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিল শেষে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। তাতেও জিলাপির স্থান মোটামুটি পাকাপোক্ত।

 

ওপরের অংশ শক্ত ও মুচমুচে, ভেতরে রসে ভরা জিলাপি। তবে দুগ্ধজাত মিষ্টির চেয়েও জিলাপি দামে সস্তা। গ্রামাঞ্চলের হাটবাজারে বা মেলার ছোট্ট দোকানটিতে সদ্য ভেজে তোলা চিনি অথবা আখের গুড়ের রসে ডোবানো গরম-গরম জিলাপির স্বাদ নিতে ক্রেতাদের জটলা খুব চেনা দৃশ্য। এতে জিলাপির জনপ্রিয়তাই প্রমাণ পায়।

আর ইফতারে নতুন আর ভিন্ন কিছু না থাকলে কি হয়? তাই রাজশাহীর বেলী ফুল নামে অভিজাত মিষ্টির দোকানে তৈরি করছে ভিন্ন স্বাদের স্পেশাল শাহী জিলাপি। এর মধ্যে শাহী জিলাপি ছাড়াও মাশকালাইয়ের তৈরি রসালো আমেত্রী মন কাড়ছে রসনা বিলাসী রোজাদারদের। ভিন্ন স্বাদের এই জিলাপিতে রোজাদারদের আগ্রহ বাড়ছে।

তবে শুধু কি আমেত্রীই হলেই চলে? এ রমজানে সাধারণ ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে ইফতারের ভিন্নতা আনা হয়েছে। এদিকে ইফতার মেন্যুতে রয়েছে মাঠা। মাঠা ৮০ টাকা লিটার, নিমকি ১২০ টাকা কেজি ও ভাজা বাদাম ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দ্বিতীয় রমজানে শাহী জিলাপি কিনতে আসা রকিব উদ্দিন বলেন, বেলী ফুলের জিলাপির অনেক স্বাদ। তাই তারা প্রতিবছর রমজান এলেই ইফতারের জন্য বেলী ফুলের স্পেশাল শাহী জিলাপি ও আমেত্রী কিনে নিয়ে যান। এর তৃপ্তিকর স্বাদ অনেক ভালো লাগে তাদের। পরিবারের সবারই পছন্দ বেলী ফুলের শাহী জিলাপি ও আমেত্রী।  

জানতে চাইলে বেলী ফুল মিষ্টি বিপনীর ম্যানেজার সুনীল চন্দ্র বাংলানিউজকে বলেন, তাদের এ জিলাপির আইটেম কেবল রমজান ভিত্তিক। বছরের অন্য সময় এগুলো পাওয়া যায় না। আর রোজায় স্পেশাল শাহী জিলাপি ও আমেত্রীর বেশ কদর রয়েছে। ইফতারে তাই মিষ্টির চেয়ে জিলাপি-ই বিক্রি হয় বেশি।

এদিকে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী প্রদীপ কুমার বাংলানিউজকে জানান, স্পেশাল আইটেম হিসেবে শাহী জিলাপি ও আমেত্রী শুধু বেলী ফুলেই তৈরি করা হচ্ছে রোজাদারদের জন্য। এর মধ্যে আমেত্রী বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি দরে আর শাহী জিলাপি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে। ইফতারের জন্য এখানকার শাহী জিলাপি ও আমেত্রী কদর একটু বেশি-ই বলে জানান প্রতিষ্ঠানের স্বত্ত্বাধিকারী।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৯
এসএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।