এদিকে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা না থাকালেও জাটকা শিকার রোধে কড়াকড়ি থাকছেই। এ লক্ষ্যে কারেন্টজাল ব্যবহার প্রতিরোধ এবং জাটকা আরোহন ও বিক্রি রোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় নিয়মিত অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে মৎস্য অফিস।
বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের হিলসা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বরিশাল বিভাগে প্রায় আড়াই লাখ জেলে রয়েছে। যার মধ্যে বরিশাল জেলায় রয়েছে ৭৮ হাজার ৫৯৪ জন। যাদের নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রজনন মৌসুম, কারেন্টজাল ব্যবহার ও জাটকা নিধন বন্ধে উপকারিতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে মোটিভেশন ওয়ার্ক করা হচ্ছে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে।
আবার মার্চ-এপ্রিল দু’মাস নিষেধাজ্ঞার সময় সরকার বিকল্প কর্মসূচি হিসেবে জেলেদের খাদ্য সহায়তা অর্থাৎ, চাল দিয়েছে। বরিশাল জেলার মোট জেলের মধ্যে নিবন্ধিত ৩১ হাজারের বেশি জেলে এ সহায়তা পাচ্ছেন।
এদিকে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি জেলে ও জেলে পরিবারকে বিকল্প কর্মস্থান কর্মসূচির আওতায় প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন সামগ্রী দিয়েছে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা।
এসবের সুফল হিসেবে নদী ও সাগরে ইলিশ বাড়া এবং নিয়মিত অভিযানে গ্রেফতার ও উদ্ধার হওয়া জাটকার পরিমাণ কমে যাওয়াকে দেখছেন মৎস্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।
আবার বিভিন্ন অভিযানে যারা ধরা পড়ছেন সেখানে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যাও অনেক কম বলে জানায় জেলে সংগঠনগুলো।
বরিশাল সদর উপজেলার জেলে হাসান ও শাহজাহান গাজী বাংলানিউজকে জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার পর গত কয়েকবছর ধরে অল্প সময়ে বেশ ভালো পরিমানে ইলিশ আরোহন করা সম্ভব হচ্ছে। যা আকারেও বেশ ভালো মানের হচ্ছে। তার মানে নদী ও সাগরে ইলিশের পরিমাণ বাড়ছে।
তারা বলেন, নিষেধাজ্ঞার সময় পেশাদার জেলেরা অবসর সময় কাটিয়ে এখন মাছ আহরণে অভয়াশ্রমে নেমেছে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে একশ্রেণীর অসাধু ও মৌসুমী জেলে কখনো ডিমওয়ালা মা ইলিশ আবার কখনো জাটকা নিধন করেই চলছে।
এ বিষয়ে বরিশাল জেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তা (হিলসা) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত ছিল, থাকবে। বরিশাল বিভাগের ২৭২ কিলোমিটার নদীপথে ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল, যা এরইমধ্যে উঠে গেছে। আজ থেকে জেলেরা অভয়াশ্রমগুলোতে ইলিশ শিকার করতে পারছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বরিশালের বাজারগুলোতে ইলিশের আমদানি বাড়বে।
তবে ১০ ইঞ্চি সাইজের নিচে জাটকা ইলিশ আহরণ-বিক্রি সব সময়ের জন্যই নিষিদ্ধ। এই আইন অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যার মধ্যে জেল-জরিমানার বিধান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, মে ০১, ২০১৯
এমএস/এএ