মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ওয়াসার প্রধান কার্যালয় ওয়াসা ভবনে আসেন মিজানুর রহমান। এমডির বক্তব্যের প্রতিবাদে তাকে ওয়াসার পানি দিয়ে তৈরি শরবত পান করাতে এলেও কার্যালয়ে ছিলেন না তাসকিম এ খান।
পরিচালকের কার্যালয়ে ওয়াসা এমডির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালে সহিদ উদ্দিন বলেন, তার বক্তব্য শতভাগ সঠিক। কারণ আমরা যে গভীর নলকূপ থেকে পানি নেই সেই পানি শতভাগ নিরাপদ। এছাড়াও পানি উৎপন্ন স্থল, রিজার্ভে দেওয়ার আগে ও পরে তিন দফা পরীক্ষা করা হয়। পানিতে মানুষের জন্য ক্ষতিকর বিশেষ করে ‘ইকোলাই’ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ক্লোরিন দিয়ে তা বিশুদ্ধ করা হয়। আমি নিজেও আমার বাসায় ওয়াসার পানি সরাসরি পান করি।
এসময় ওয়াসার এমডির বক্তব্যে আশ্বস্ত হয়ে কেউ ওয়াসার পানি পান করে অসুস্থ হলে তার দায়ভার কে নেবে? মিজানুর রহমানের এমন প্রশ্নের জবাবে সহিদ উদ্দিন বলেন, আমি নেবো। ওয়াসা নেবে। মিজানুর রহমানের বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেও বিষয়টি পুর্নব্যক্ত করেন ওয়াসা পরিচালক। তবে ওয়াসার বাইরে অন্যদের লাইনে খোঁড়াখুঁড়ির কারণে পানিতে ময়লা আসে বলে দাবি করেন তিনি।
বৈঠকে মিজানুর রহমানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুত আশ্বাস নেওয়ার নিশ্চয়তা দেন সহিদ উদ্দিন। এক পর্যায়ে মিজানুর রহমানের নিয়ে আসা পানি দিয়ে শরবত পানের আহ্বান জানালে সহিদ উদ্দিন বলেন, আজ শরবত খাবো না। ঐ এলাকার পানির সমস্যার সমাধান করে সেই পানি দিয়ে শরবত খাবো।
এদিকে বৈঠক শেষে সংবদিকোদের মিজানুর রহমান বলেন, আমরা ওয়াসার এমডির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলাম। আমরা তার পদত্যাগ চাই। যাই হোক, ওনাকে (সহিদ) আমাদের অভিযোগ জানিয়েছি। দ্রুত সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা দেখবো তারা কি করেন। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে জুরাইনবাসীসহ রাজধানীবাসীকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে জানিয়ে ওয়াসা ভবন ত্যাগ করেন মিজান।
বৈঠকে ওয়াসা পরিচালকের সঙ্গে ওয়াসার জনসংযোগ কর্মকর্তা তারেক মোস্তফা এবং মিজানুর রহমানের সঙ্গে স্ত্রী সন্তান, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মনিরুল ইসলামসহ চার সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস